স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা থাকলে ও বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নে মুজিব শতবর্ষ পালনের ছিঁটেফোটাও দেখা যায় নি কোথাও।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত মুজিব জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহকে পত্র প্রেরণ করা হয়।
কিন্তু, তিনি সরকারি নির্দেশনার কোনো ধরনের তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সারাদেশব্যপী একযোগে পালিত হলেও, শুধুমাত্র এই দোছড়ি ইউনিয়নে পালিত হয়। দোছড়ী ইউনিয়ন পরিষদ এবং দোছড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ছিল নিষ্ক্রিয়।
এই নিয়ে, দোছড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, “আমরা একটি রাজাকারের দোছড়ি ইউনিয়নে বসবাস করি।
ফ্যাক্টঃ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী।”
এতে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জানান, হাবিবুল্লাহ সাবেক জামায়াত নেতা। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগে যোগদান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হোন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার উচিত ছিলো সবার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার জন্মশতবার্ষিকী পালন করা, কিন্তু তিনি স্বাধীনতার চেতনাকে ক্ষুন্ন করেছেন। এতে পূর্বের জামায়াত চেতনাকে ধারণ করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আরেক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাবিবুল্লার বিভিন্ন অপকর্মে ইউনিয়নবাসীর জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, এলাকার মানুষ তার প্রতি অসন্তুষ্ট। সে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমপ জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সুনাম ক্ষুন্ন করছে। আমরা তার বহিষ্কারসহ আইনানুগ শাস্তি চাই।
এবিষয়ে, দোছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায় নি।
Leave a Reply