কুমিল্লা জেলাস্থ দেবিদ্বারে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত জোয়ানা ইসলাম চাঁদনী স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায়। চাঁদনী এখনো স্বপ্ন দেখছে, সুস্থ হয়ে অন্যদের মতো হাসিখুশি জীবন কাটানোর, এজন্য তার চিকিৎসার প্রয়োজন।
জানা যায়, চাঁদনীর বাবা মোঃ জামসেদ আলম কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলাস্থ ৪নং সুবিল ইউনিয়ন এর হাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।তার এক ছেলে দুই মেয়ে। বড় মেয়ের নাম জোনাকী আক্তার মারিয়া(১৫)। জন্মের দেড় বছর পরেই সে মারাত্বক অসুস্থ হয়। তাকে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ব্লাড ক্যানসার ধরা পরে। রোগটি সনাক্ত হওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার জানায় ১২ বছর বয়স হলে অপারেশনের মাধ্যমে তাকে সুস্থ করা সম্ভব হতে পারে। এ সময় পর্যন্ত প্রতি মাসে তাকে এক ব্যাগ করে রক্ত দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ভাবে প্রতি মাসে মাসে প্রায় তেরো বছর যাবৎ মারিয়াকে এক ব্যাগ করে রক্ত দিয়ে আসছে।
আরও জানা যায় জামসেদ আলম এর দ্বিতীয় মেয়ে জোয়ানা ইসলাম চাঁদনী(০৯) গত নভেম্বর-২০১৯ মাসে মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পরে। তাকেও হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানায় তার ব্লাড ক্যানসার। কুমিল্লা হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে সে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য। উন্নত চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার বাবার পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়।
এই প্রসঙ্গে জামসেদ আলম বলেন, আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মাসিক আয় যা হয় তাতে কোন ভাবে সংসার নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। বড় মেয়েকে প্রায় তেরো বছর যাবৎ মাসে মাসে রক্ত দিয়ে আসছি। এখন ছোট মেয়েটাও ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। কি করব ভেবে পাচ্ছি না।
জামসেদ আলম বলেন, বড় মেয়ে দেবিদ্বার মফিজ উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। ছোট মেয়ে চাঁদনী দেবিদ্বার মৈত্রী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। ভেবে ছিলাম চাঁদনী ভবিষ্যতে মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। সেও মরণব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছে। জীবন যুদ্ধে সে আজ হারতে বসেছে। সব স্বপ্নের বড় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার। দুটো মেয়ের দিকে তাকালে যেনো কলিজা ফেটে যায়। ধারদেনা করে অসুস্থ মেয়েদের বাচাঁতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মেয়েরা স্বপ্ন দেখছে সুস্থ হয়ে অন্যদের মতো হাসিখুশি জীবন কাটানোর, কিন্তু এজন্যতো চিকিৎসার প্রয়োজন।যা আমার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছেনা। অনেক টাকার প্রয়োজন। কোথায় পাবো এতো টাকা?
সমাজের স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে চাঁদনী’র বাবার আকুতি টাকার জন্যকি আমার মেয়েদের চিকিৎসা হবে না! চাঁদনী কি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না! চাঁদনী কি আর কখনো স্কুলে যেতে পারবে না! মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে সব স্বপ্ন কি শেষ হয়ে যাবে! দেশ ও বিদেশের স্ব-হৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন চাঁদনী’র বাবা।
সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা: বিকাশ পার্সোনাল-০১৮১৮৮৩৩১১০,,।
Leave a Reply