দেবহাটার সরকারি খানবাহাদুর আহছানউল্লা কলেজের এক ছাত্রীকে অপহরণকালে অভিযুক্ত হারুন মোড়ল (৩২) কে গণধোলাই দিয়েছে ভিকটিমের স্বজনসহ স্থানীয়রা।
বর্তমানে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চলছে তার চিকিৎসা। অভিযুক্ত হারুন মোড়ল কালীগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের শামছুর মোড়লের ছেলে। ভিকটিম কলেজছাত্রীর বাবা দেবহাটা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে হারুন অর রশিদ জানান, রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রে তার সাথেই এক সময়ে চাকুরী করতো অভিযুক্ত হারুন মোড়ল। নারী কেলেঙ্কারী সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ থাকায় হারুন মোড়লকে রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র থেকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। এমনকি অভিযুক্ত হারুন মোড়লের দুই স্ত্রীও তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্র থেকে চাকুরী হারানোর জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণের পরিকল্পনা করে। শুক্রবার সকালে দেখা করার কথা বলে মোবাইল ফোনে আমার মেয়েকে নলতা চৌমুহনীতে ডেকে নেয়। এসময় সে আমার মেয়েকে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়ার জন্য জোর প্রয়োগ ও অপহরণ করার জন্য টানা হেচড়া করতে থাকে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা অভিযুক্ত হারুন মোড়লকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে ভিকটিমের স্বজনদের খবর দেয়। পরে ভিকটিমের স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিম কলেজছাত্রীকে উদ্ধার সহ অভিযুক্ত হারুন মোড়লকে দেবহাটা থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
এসময় গনধোলাইয়ের শিকার হারুন মোড়লের কাছ থেকে দুটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার সহ তাকে চিকিৎসার জন্য সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই কলেজছাত্রীর মা জামিলা খাতুন বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো বলে ভিকটিমের পরিবার সুত্রে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণধোলাইয়ের শিকার হারুন মোড়লের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply