পার্বত্য চট্টগ্রাম এর নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি ঘেষেই মায়ানমার সীমান্ত।ইয়াবা ব্যবসায়ীদের যাতায়তের অন্যতম রাস্তা হলো এই ঘুমধুম টু নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কটি। এই সীমান্তজুড়ে কড়া নিরাপত্ত্বা ও নজরদারী রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির। কিন্তু রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সক্রিয়তা কতটুকুই বা আগাতে পারবে!
অভিযোক্ত ছৈয়দ দফাদার একজন গ্রাম পুলিশ। শুধু গ্রাম পুলিশই তার পরিচিত নয়। সাধারণ মানুষের মাঝে তার আরো অনেক গুলো পরিচিতি রয়েছে।
মাদক চুরাকারবারীদের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সু-পরিচিত ও সক্ষতা থাকে এই ছৈয়দ এর। সীমান্ত দিয়ে আসার পথে চুরাকারবারী সহ মাকদ গুলো পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে চালানের নির্দিষ্ট শতাংশের পরিমান টাকা গ্রহণ করে সে।
উক্তরূপ হাজার হাজার অভিযোগ এই দফাদারের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে সহস্র অভিযোগ এর খবর পেয়ে কয়েকটি সাংবাদিক টিম চলে যায় ঘুমধুম ইউনিয়নে। সেখানে সাধারণ মানুষরা একই ভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছড়িয়ে দিচ্ছে।
বেশ কয়েকজন গাড়ির ড্রাইভার অভিযোগ করেছে যে, তাদের গাড়ি আটকিয়ে গাড়িতে মাদক আছে বলে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিমান টাকা গ্রহণ করে থাকে।
সর্বসাধারণের দাবী আইনের পোশাক পড়ে এই ধরণের দুর্নীতি গুলো পরিচালনা করা বেমানান। এতেকরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মানের ব্যাঘাত ঘঠছে। আমরা গ্রামবাসীরা তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়ার জুর দাবী জানাচ্ছি।
তার এই পোশাক দিয়ে সকল দুর্নীতির কার্যকলাপ গুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরিচালনা করতে থাকলে সারা দেশের গ্রাম পুলিশের পোষাকের সাথে, গ্রাম পুলিশের সাথে তথা দেশের সাথে বেঈমানি করা হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘঠবে।
Leave a Reply