নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর ৩নং বালুমহালের ইজারাদার ঝুলন সাহা ৮ ডিসেম্ভর মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাকক্ষে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলনেরর মাধ্যমে জানান যে, ওই বালি মহালটি ১৪২৭ বাংলা সনের ১ লা বৈশাখ হতে ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত ভ্যাট ট্যাক্স ব্যাতীত ১২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা ইজারা মূলে তাঁকে ইজারা প্রদান করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিকুল পরিবেশে বিগত ২৬ মার্চ, ২০২০ খ্রিঃ তারিখ হতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রামন, মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় নেত্রকোণা জেলা লগডাউন করা হলে প্রায় দুই মাস বিলম্বে কার্যাদেশ প্রদান করে ওই বালুমহালের আংশিক সীমানা নির্ধারণ পূর্বক ওই বালু মহালটি তাঁকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বলতে হয় যে, ওই বালি মহাল বুঝে পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ভূমি দস্যু, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের অনৈতিক ও বেআইনী কর্মকা-ে বালি উত্তোলন কার্যক্রম প্রতিনিয়তই মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া আমার ইজারাকৃত ৩৪১.০৬ একর বালি মহালটি প্রবাহমান নদী/নদীর তীর না হওয়ায় এবং পূর্বের ইজারাদারগণ কর্তৃক নদী প্রবাহের সম্পূর্ণ বালু উত্তোলন করে ফেলায় বর্তমানে ওই বালু মহালটি একেবারেই বালুশূন্য অবস্থায় আছে; কিছু পরিমাণ বালু আমার ইজারা সীমানার মধ্যে নদীর তীরে চরাঞ্চলে যেখানে বিদ্যমান আছে সেখান থেকেও স্থানীয় অবৈধ দখলদারদের কর্তৃক চাঁদা দাবী পূর্বক অনৈতিক বাঁধার কারণে বালু উত্তোলন করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বারংবার জানানো হলেও কোন অজ্ঞাত কারণে তিনি ওই বিষয় সমূহের সমাধান দিতে পারছেন না কিংবা নানান অজুহাতে কাল ক্ষেপন করছেন তা আমার বোধগম্য নয় ? এমতাবস্থায় আমার ইজারাকৃত বালুমহাল করোনা পরিস্থিতি, স্মরণকালের দীর্ঘমেয়াদী বন্যা এবং অবৈধ দখলদারদের চাঁদা দাবীর কারণে ইজারা সময়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জরুরী ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চাঁদাবাজী বন্ধ করে ওই বালি মহালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সীমানা নির্ধারণসহ আরো ১ বৎসর ইজারা মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান ইজারাদার ঝুলন সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোমেশ^রী নদীর ৩নং বালু মহালের ব্যবসায়ী অংশীদার মোঃ মনোয়ার হোসেন মাসুম। তাঁর সঙ্গেছিলেন মো: ফজলুল হক ফজলু, আশীষ সাহা, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আনসারী ও মিথুন।
Leave a Reply