বাঁশখালীর জন্য এটি নতুন কোন খবর না। দিনের পর দিন ঘটে যাচ্ছে বাঁশখালী প্রধান সড়ক দুর্ঘটনা এখনো তার কোনো বিহিত করতে পারল না প্রশাসন, যার ফলে হারাতে হচ্ছে নিরীহ মানুষের প্রাণ। আজ তৈলাদ্বীপ সেতুর টোলপ্লাজার সামনে, স্পেশাল এবং সুপার সার্ভিস এর মুখামুখি সংঘর্ষ হয়েছে সকাল ৯ টায়। বাশঁখালীর প্রধান সড়ক চাদঁপুরে ঘটে যাওয়া একটি চিত্র ধারন করা হলো। জনসাধারণ বলেন আনোয়ারা -বাঁশখালী রাস্তায় যে হারে দূর্ঘটনা ঘটছে মনে হচ্ছে ঘর থেকে বের হলে ঘরে ফেরার কোন গেরান্টি নেই। মাত্র ১৫ দিনে মধ্যে ১১ জন মানুষ নিহত হয়েছে এ সড়কে আহত হয়েছে একাদিক লোক। জনসাধারণ আরো বলেন বাঁশখালীতে প্রধান সড়কের উপর আঁকাবাঁকা বিদ্যুতের খুঁটি এবং প্রধান সড়কে কোন চিহ্ন নেই চিহ্নিত বিহীন গতিরোধকের ফলে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা তাছাড়া বাঁশখালীর বেশ কয়েক জায়গায় গতিরোধক থাকলেও তাতে কোন ধরনের চিহ্ন না থাকায় সেখানে ঘটছে দুর্ঘটনা গত ২৬ জানুয়ারি বৈলছড়িতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক তানভীর সিকদার এর মৃত্যু হয়, ২৯জানুয়ারি পৌরসভার আলিমিয়ার দোকান এলাকায় সিএনজি দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ শাকের (১৯) নামে মহেশখালীর এক যুবকের পেটের নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায় ৬ ফেব্রুয়ারি কালীপুর এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারান মোটরসাইকেল আরোহী টাইলস মিস্ত্রি বাবুল মিয়া (৪০) এবং ১২ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার দক্ষিণ জলদি এলাকায় মোটরসাইকেল ধাক্কায় প্রাণ হারান মনোয়ারা বেগম (২৫)নামে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ, কয়েক দিন যাবৎ এভাবে অসংখ্য মানুষ প্রান হারাল বাঁশখালীর এই সড়কে। সাধারণমানুষ খুব চিন্তিত আছে এ সমস্যা নিয়ে তারা সরকারের কাছে এটার একটা বিহিত চাই গত ১২ ই ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ইসলামী যুব আন্দোলন নিরাপদ সড়কের জন্য ১৯ দফা দাবিতে “যুব বন্ধন” এর আয়োজন করেছেন। এখানে সভাপতিত্ব করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ রুহুল্লাহ তালুকদার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব অান্দোলন-চট্টগ্রাম দক্ষিণ এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়জুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- বাঁশখালী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি, মাওলানা জসিম উদ্দিন মিজবাহ, যুব নেতা মাও. জাওয়াদুল করীম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছত্র আন্দোলন বাঁশখালীর সাবেক সভাপতি ছাত্রনেতা অব্বাস উদ্দীন, সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা লোকমান হাকিম। বাঁশখালীতে ক্রমবর্ধমান সড়ক দূর্ঘটনা-রোধে ও যানযটমুক্ত নিরাপদ সড়কের দাবীতে যুব অান্দোলনের ১৯ দফা দাবী সমূহ মধ্যে রয়েছে: ১. রাস্তা প্রশস্তকরণ, ড্রেন নির্মাণ ও কমপক্ষে ৩` (ফিট) ফুটপাত রেখে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। ২. জেব্রা ক্রসিং, ফুট ওভারব্রীজ ও অান্ডার পাসের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়সহ সকল জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় গতিরোধকের ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. স্পীড ব্রেকারে সবসময় সচ্চ বুঝা যায় মতো রঙের ব্যবস্থা ও সড়কের মধ্যে দ্বিবিভাজন চিহ্নের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. সড়কের মূল সিমানায় স্থাপিত বৈদ্যুতিক খুঁটি ও অবৈধ স্থাপনা সরাতে হবে। ৬. প্রধান সড়কের পাশে বাজার বসা ও মালামাল রাখা নিষিদ্ধ করতে হবে। ৭. সড়কের প্রতিটি বাজার ও জনসমাগমে ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. মোটর সাইকেলে দুইজনের অধিক চলা নিষেধ। ৯. হেলমেটবিহীন মোটর বাইক চালানো নিষিদ্ধ করতে হবে। ১০. যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে। ১১. অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভারের গাড়ী চালনা নিষিদ্ধ করতে হবে। ১২. যানবহনে চালক-যাত্রী সকলের ধুমপানসহ যাবতীয় নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারকারীদের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ১৩. গাড়ীতে গান-বাজনা নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৪. ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের যথযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৫. বাস, ট্রাক, পিকআপ ও সিএনজির টার্মিনাল করতে হবে। ১৬. মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ বাঁক সংস্কার করতে হবে। ১৭. শব্দ ও বায়ু দূষনযুক্ত সকল যানবাহনকে দণ্ডায়িত করতে হবে। এখন বাঁশখালীর মানুষের একটি দাবী নিরাপদ সড়ক চাই তারা আপনজন হারানোর এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে চাই।
Leave a Reply