তৎকালীন সংবাদপত্র “মর্নিং নিউজ” একদম নতুন রুপে মর্নিং বিডি ডট নিউজ ফিরে দেখা।
যার অক্লান্ত পরিশ্রমে ফিরে পাওয়া আমাদের অনলাইন নিউজ ইপেপার তিনি আর কেউ নন। প্রধান উপদেষ্টা মর্নিং বিডি ডট নিউজ পরিবার জনাব খান সেলিম রহমান মহোদয় সম্পাদকের ভূমিকায় রয়েছেন মঞ্জিলা খাতুন।
স্বাধীনতার ৫০ বছর: একাত্তরের যুদ্ধের খবর সংবাদপত্রে কতটা ছাপা হতো? নির্দেশিত খবরা-খবর ছাপা হতো সংবাদপত্রে।
উনিশ’শএকাত্তর সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের পাশাপাশি প্রচার মাধ্যম, বিশেষ করে সংবাদপত্রও যুদ্ধকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
দৈনিক ইত্তেফাক, পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলা ও মর্নিং নিউজ— গুরুত্বপূর্ণ এ চারটি পত্রিকাতেই সেদিন নানা আয়োজনে তুলে ধরা হয়েছিলো জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবর। এছাড়াও আরও বেশ কিছু পত্রিকা (যেমন: দৈনিক সংবাদ) এ বিষয়ে খবর ও তথ্যাদি প্রকাশ করলেও পত্রিকাগুলোর নির্দিষ্ট দিনের কোনো কপি পাইনি। ফলে এ চারটি পত্রিকা ধরেই আলোচনাটি করা হলো।
সেদিন কেমন ছিলো আমাদের গণমাধ্যমের লেখাগুলো? কেমন ছিলো তৎকালীন সংবাদপত্রের শিরোনামসহ অন্যান্য খবরগুলো? একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের গণমাধ্যমগুলোও যেনো সেদিন জেগে উঠেছিলো নতুন শব্দে, নতুন শিরোনামে। একাত্তরের ষোলোই ডিসেম্বর বাঙলাদেশের বিজয় এলেও বিজয়ের পূর্ণতা এসেছিলো বাহাত্তরের দশই জানুয়ারি।
বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃত্বাধীনে পরিচালিত একটি ব্যাঙ্ক। দৈনিক বাংলার বিজ্ঞাপনে রঙ থাকলেও, মর্নিং নিউজের বিজ্ঞাপনটি ছিলো শাদাকালো। দুটো বিজ্ঞাপনেরই ভাষ্য ছিলো এক। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির পিতা সম্বোধন করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তাঁকে সম্ভাষণ জানিয়েছিলো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ওই মহামানব আসে… —
বিদায় বেলার জানালায় দাঁড়িয়ে ভৈরবী রাগের এই গানটি তবে রবীন্দ্রনাথের ভবিষ্যত-দর্শন? কেননা, গানটি রচনার প্রায় ৩০ বছর পর এর একটি অলৌকিক দৃশ্যায়ন ঘটেছে সদ্য স্বাধীন বাঙলাদেশে। ১৯৭২ সালের দশই জানুয়ারি স্বদেশে ফিরে আসেন বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান— ফিরে আসেন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে। এক যুদ্ধবিধ্বস্ত বিষণ্ন ভূমিতে তাঁর পদচ্ছাপ থেকে ফুটে উঠেছিলো কৃষ্ণচূড়া, সম্পন্ন হয়েছিলো আমাদের বিজয়ে মিছিল।
Leave a Reply