বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন

তিতাসের মৃত্যুতে দায় এড়াতে পারেন না যুগ্ম সচিব

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৯

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডল দায় এড়াতে পারেন না বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বুধবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির সভাপতি সঞ্জয় কুমার বণিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরি আটকে রাখা এবং ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী থাকার কথা যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডল জানতেন না। এ কারণে তাকে সরাসরি দায়ী করা যায় না। তবে তিনি ঘাট ব্যবস্থাপককে দীর্ঘক্ষণ আগে থেকেই পারাপারের জন্য বার্তা দিয়ে তার সঙ্গে বার বার ফোনালাপের মাধ্যমে একটা দায়ভার সৃষ্টি করেছিলেন। সর্বোপরি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিলম্বে ফেরিঘাটে উপস্থিত হওয়া এবং তার জন্যই ফেরি অপেক্ষমাণ রাখায় এক্ষেত্রে তারও দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই তিনি দায়ভার এড়াতে পারেন না। এই প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে এই প্রতিবেদনে ভিআইপির (যুগ্ম সচিব) অপেক্ষায় ফেরি আটকে রাখার কারণে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটের চার কর্মকর্তা-কর্মচারিকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।

সরাসরি দায়ীরা হলেন- ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন, প্রান্তিক সহকারী খোকন মিয়া, উচ্চমান সহকারী ফিরোজ আলম ও ইনল্যান্ড মাস্টার সামছুল আলম।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২৫ জুলাই রাতে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে প্রায় ২ ঘণ্টা ‘কুমিল্লা ফেরি’ বসিয়ে রাখা হয়। ফেরিঘাটে আটকে পড়া স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষকে বহণকারী অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েও ফেরি ছাড়া যায়নি। ফলে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের।

এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তিতাসের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জহির উদ্দিন লিমনের করা এক রিট আবেদনে গত ৩১ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তিতাসের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581