বর্তমান করোনা ভাইরাস ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ঠাকুরগাঁয়ে জেলা ২৯ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসকের নিকট ১৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা গুলোতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ন আলোচনাও করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রিজওয়ানুল হক রিজু, তেল গ্যাস খণিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান শামিম, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক সহ অন্যান্যরা ।
করোনা মোকাবেলায় দাবি সমূহ ১. ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণ কীটের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. করোনা রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট স্থাপন করতে হবে। ৩. হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ ও কৃত্রিম শ্বাস- প্রশ্বাস যন্ত্র বা ভেন্ডিলেটরের ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. চিকিৎসক নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরুক্ষা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম যেমন পিপিই, গ্লাফস্, মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫. সম্পূর্ণ অস্থায়ী হাসপাতালের জন্য ক্লিনিক হোটেল স্টেডিয়াম গেষ্ট হাউজগুলোকে অধিগ্রহণ করতে হবে। যেখানে শুধু রোগীরা নয়, যারা রোগীদের চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা দিবে তাদরে নিজ পরিবার থেকে আলাদা রাখতে প্রয়োজন পড়বে। ৬. করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা চিকিৎস নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মী দিয়ে দল গঠন করতে হবে। ৭. প্রবাসীদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য করোনা অক্রান্ত অঞ্চলের মানচিত্র তৈরি করতে হবে। ৮. গুরুত্বভেদে অঞ্চল ভিত্তিক জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। ৯. গণপরিবহন ও গণপরিসরগুলো এবং সংক্রমনের হট স্পট নিয়মিত জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. বন্ধ হওয়া স্কুল কলেজে অথবা নিরাপদস্থানে ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের জন্য আশ্রয় শিবির খুলে তাদেরকে সরিয় নিতে হবে। ১১. গাদাগাদি করে বাস করা বস্তিবাসীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি বস্তিতে পরিচ্ছন্নতা উপকরণ সরবরাহ এবং করোনা মনিটরিং সেল স্থাপন করতে হবে। ১২. শ্রমঘন কারখানার শ্রমিকদের সবেতনে ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। ১৩. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুদদারী বন্ধ করে ন্যয্য মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। ১৪. নিম্ন আয়ের এবং রোজগার হারানো মানুষদের জন্য রেশনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। এবং ১৫. সংবাদকর্মীদের জন্য পিপিই‘র ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a Reply