চলমান এসএসসি পরিক্ষার টেকনাফ এজাহার সরকারী গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র নিয়ে পরিক্ষা নেয়া হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কোমলমতি পরিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মারাত্বক ব্যাপার হচ্ছে বিষয়টি ঘটে যাওয়ার পর তা সুরাহা করার পরিবর্তে গোপন করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। জানা যায়, এসএসসি পরিক্ষার টেকনাফ এজাহার সরকারী গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে (কেন্দ্র নং-২) ১৪ নম্বর কক্ষে পরিক্ষার প্রথম দিন ৩ ফেব্রুয়ারী নিয়মিত পরিক্ষার্থী থেকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র নিয়ে পরিক্ষা নেয়া হয়েছে। উক্ত কক্ষে সাবরাং হাইস্কুলের ১৬ জন এবং নয়াবাজার হাইস্কুলের ১৬ জন পরিক্ষার্থী ছিল। সকলেই ছিল নিয়মিত পরিক্ষার্থী। কিন্ত তাদেরকে দেয়া হয়েছে ২০১৮সালের প্রশ্নপত্র।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানাজানি হয়নি। পরে পরিক্ষার্থীরা পরষ্পর আলোচনায় প্রকাশ হয়ে যায়। বুধবার ৫ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় এসএসসি পরিক্ষার্থী সাফামণি হ্যাপী রোল নং-৩২৮৯৪৮, রেজিস্ট্রেশন নং-১৭১৪৫৪৬০৫৬ এর পিতা সাবরাং আলীরডেইল গ্রামের বাসিন্দা বশির আহমদ, পরিক্ষার্থী হোছনে আরা রোল নং-৩২৮৯৪১, রেজিস্ট্রেশন নং-১৭১৪৫৪৬০৪৮ এর পিতা সাবরাং আলীরডেইল গ্রামের বাসিন্দা হোছাইন আহমদ, পরিক্ষার্থী আজিজা বেগম রোল নং-৩২৮৯৪৯, রেজিস্ট্রেশন নং-১৭১৪৫৪৬০৫৯ এর পিতা সাবরাং হাদুরছড়া গ্রামের বাসিন্দা মফজল আহমদ টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করেন। ইউএনও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
পরিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কোমলমতি পরিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে পড়েছেন। কিন্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফলাফল ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যা খুবই দুঃখজনক। তবে ইউএনও মহোদয় আমাদের কথা শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এতে আমরা আশাবাদী আমাদের কোমলমতি পরিক্ষার্থীরা ধ্বংস হবেনা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, ‘এতবড় একটা ঘটনা। তাও প্রথম দিনের। কিন্ত এ পর্যন্ত কেউ আমাকে অবহিত করেনি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
Leave a Reply