যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া, হাজিরবাগ,শংকরপুর, নির্বাসখোলা অঞ্চল সহ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে ট্রাক্টরের অবাধ ও নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলে অতিষ্ট হচ্চে এলাকাবাসী। সাথে প্রত্যেকটা রাস্তা যেন মাটি বহন করে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা পিছালো হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ, স্কুল ও কলেজ গামী শিশুদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে,বাঁকড়া,হাজিরবাগ,ও শংকর পুর অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ট্রাক্টর গুলোতে ইট ভাটার জন্য মাটি ও অন্যান্য মালামাল বহন করা হচ্ছে। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতা জানান, (নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) বাঁকড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁকড়া জে.কে. মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাঁকড়া মুন এডাস ইউনিস্টিট, বাঁকড়া আজমাইন এডাস, বাঁকড়া কওমী মাদ্রাসা, বাঁকড়া হাজিরবাগ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, রায়পটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহেশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহেশপাড়া বি.কে.এইচ দাখিল মাদ্রাসা, ইস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজিরবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিকোমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়, শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়, খলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজ্জ্বলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দিগদানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও হাইস্কুল।
মাঠশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও হাইস্কুল। পাঁচপোতা গোয়লবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ কুল বাড়ী ও নাইড়া সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুকি নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাচ্ছাদের পাঠিয়ে অজানা চিন্তায় থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই যন্ত্রনামের দানবের চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন পাকা রাস্থা। বিশেষ করে মাটি বহনের সময় ট্রলি-ট্রাক্টর থেকে ও চাকার ফাকে আটকিয়ে থাকা মাটি রাস্থায় পড়ে রাস্থাকে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল করে তুলছে। যা পথচারী ও অন্যান্য যানবহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। কখনো কখনো বড় ধরনের ঘটছে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাটা মালিকদের নিষেধ করলেও তারা কোনরুপ কর্নপাত না করে বরং নিষেধ কারীদের প্রতি মারমুখি হচ্ছে। কোন ভাবেই থামছে না তাদের দুরুত্ব। তাদের খুটির জোর কোথায়? ক্ষোভের সাথে প্রশ্ন করছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসীরা।
এ ব্যাপারে প্রত্যেকটা জনগন যেন জিম্মি করে,চলছে ভাটার মাটি বহনের কাজ।প্রতিবাদ করলে বলে আমরা মাটি বহন করব।পারলে যা পারিস করিস।ভাটা মালিক রা যেন এলাকার প্রশাসন জিম্মি করে রাখছে।নাকি প্রশাসন দেখেই দেখেনা?প্রশ্ন জনগনের এ বিষয়ে রায়পটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, আমার পক্ষ থেকে ট্রাক চালক ও ভাটা মালিকদের নিষেধ করলে তারা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখে। আবারো পুনারায় তারা মাটি বহনের কাজ শুরু করে। বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর কবীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিবো।
তিনি আরোও বলেন অবৈধ যানবাহন চলাচলের কোন সুযোগ নেই। যদি চলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সংসদ সদস্যর দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply