নামটা তার মহরম আলী । তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরগুনা।
যিনি ইতিমধ্যে বরগুনায় অধিকার বঞ্চিত মানুষের প্রশংসা কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে নতুন করে চিনিয়ে দেওয়ার কিছুই নেই, সকলেরই চেনা মুখ। যাকে সকলেই জনবান্ধন হিসেবেই জানে, নিঃসন্দেহে পুলিশ বাহিনীর গর্ব। স্বাধীন বাংলাদেশের আইকন হিসেবেই অনেকে বলে থাকেন। যতোটুকু জেনেছি এবং দেখেছি বরগুনা জেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরো জেলার দৃশ্যপট পাল্টে গিয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। বিশেষ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, পূর্বের তুলনায় আইন শৃঙ্খলার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার কারনে এটি সম্ভব হয়েছে। চৌকস এবং জনবান্ধন পুলিশ বাহিনী গড়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন, আর সেই পরিশ্রমের বদৌলতে এটিও সম্ভব হয়েছে। জেলা পুলিশের প্রতি ছিল তার কঠোর নির্দেশনা বিশেষ করে অনিয়ম দুর্নীতি, চাঁদাবাজী আর মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেই তার পথ চলা। বরগুনা জেলার জনগন আজ ধন্য এমন মহৎ আদর্শের মানবতার দরদী পেয়ে। এইতো সেদিনও দেখেছি করোনা ভাইরাসের কারনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে দেখা করার জন্য জনগণকে নিরুৎসাহিত করার কথা, সেখানে তার উল্টো দুরত্ব বজায় রেখে দেখা করার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ, পর্যায়ে ক্রমে সকলের সাথেই দেখা করলো এবং তাদের সমস্যার কথা শুনলো। শুধু শুনেই শেষ নয় সমস্যা নিরসনের জন্য স্ব স্ব দপ্তরে নির্দেশনা দিল। করোনাকে ভয় না করে জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রতিনিয়ত। রাস্ট্রের পবিত্র পোশাক পড়ে অর্পিত দায়িত্ব পালনে পিছপা ছিলনা কখনোই সেটি বরগুনাবাসী ইতিপূর্বে দেখেছে। যতোটুকু শুনেছি এবং জেনেছি কেউ কখনও সাহায্য সহযোগিতায় তার দপ্তরে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী বলেন বরগুনায় দায়িত্ব পালন কালে জনগনের ভালোবাসায় দেশ জাতি আর সমাজের উন্নয়ণে যে কোন অবস্থায় জীবন বাজি রাখতেও বদ্ধ পরিকর বলে অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। আর বরগুনা জেলার দক্ষ মানবিক পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম মহোদ্বয়ের দিকনির্দেশনা ফলো করে আমার সামনে পথ চলা।
Leave a Reply