দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে প্রতিপক্ষের হামলায় তাজমুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। চিরিরবন্দর থানা পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ১৫মে শনিবার সকাল আনুমানিক ৬টায় উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে দূর্গাপুর গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের কুতুবডাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের পিছনেই দূর্গাপুর এলাকায় বসবাসরত বয়োবৃদ্ধ মো. আজোমদ্দিনের (৭০) সাথে প্রতিবেশি ময়নুল ইসলামের (৬০) গরুর গোবর ফেলার ডালিকে কেন্দ্র করে গত ১৪ মে শুক্রবার ঈদের দিন বিকেল থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে কুতুবডাঙ্গা হতে বেলতলী বাজার রাস্তার উপরে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় প্রতিবেশি অফুরউদ্দিন শাহ্র ছেলে দিনমজুর তাজমুল ইসলাম (৪০) ঝগড়া থামাতে এগিয়ে আসলে ময়নুল ইসলামের পক্ষের লোকজনের শাবলের আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ও প্রতিপক্ষ বয়োবৃদ্ধ আজোমদ্দিন (৭০), তার মেয়ে বুলবুলি আকতার (৩৫) ও নাতি সুমন ইসলাম ১৭) গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে ময়নুল ইসলামসহ তার ছেলে শাহাজাহান আলী (২৮), শাহিন আলী (২৪) , মেয়ে মমতাজ বেগম (২৬), জামাই সেরাজউদ্দিন (৩০) ও স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫০) কে আটক করে থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে ও মরদেহের সুরতহাল করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী উম্মে কুলসুম (৩২) বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীদের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply