সাতক্ষীরায় চিকিৎসা সেবার ব্যাপক নাজুকতা লক্ষ করা যাচ্ছে?
ডাক্তারের অবহেলায় এক প্রসুতি মায়ের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তার প্রমাণ মিলেছে।
জানা গেছে, সোমবার ৪ মে দুপুর ২ টার পর সাতক্ষীরা শহরের নাজমুল ক্লিনিকে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দায় এড়াতে মৃত্যুর খবর চেপে রেখে হার্ট ফেলিওরে মারা গেছে বলে তড়িঘড়ি করে লাশ ক্লিনিক থেকে বের করে দিয়ে সৎকার করতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত্যু এই প্রসূতির নাম অনিমা কর্মকার (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা কর্মকারপাড়ার সঞ্জীব কর্মকারের স্ত্রী।
মাগুরা কর্মকার পাড়ার দিপু কর্মকার জানান, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের হীরেন কর্মকারের মেয়ে অনিমা কর্মকারের সঙ্গে ২০১৩ সালে তার বিয়ে হয় তার কুটুম সঞ্জীব কর্মকারের
জয়ন্ত কর্মকার নামে সাড়ে পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের।
রোববার সকাল ৮ টার দিকে শহরের পলাশাপোলের সাবেক সাংসদ ডাঃ মোখলেছুর রহমানের মালিকানাধীন নাজমুল ক্লিনিকে ভর্তি করেন অন্তঃস্বত্বা অনিমাকে।
গর্ভে দু’টি ছেলে সন্তান থাকায় অস্ত্রপাচার ব্যতীত স্বাভাবিকভাবে প্রসব করানো যাবে না মর্মে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সিজারের জন্য ১০ হাজার টাকায় তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ওইদিন সকাল ১০টা ১২ মিনিটে ডাঃ আশিক কওছার প্রসুতি অনিমার সিজার করান প্রথমত প্রসবকৃত দু’টি সন্তানসহ মা সুস্থ ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে অনিমা কর্মকারের অস্ত্রপচারকারি চিকিৎসক ডাঃ আশিক কওছার জানান, অস্ত্রপাচারে সন্তান জন্ম হওয়ার পর মা ও সন্তান উভয়েই সুস্থ ছিল। তবে হঠাৎ করে অনিমা কর্মকারের রক্তচাপ জনিত কারণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে একটি কার্ডিওলজি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে হার্ট ফেলিওর এ প্রসুতির মৃত্যু হয়।
তবে বিষয় টি মৃত্যের পরিবার কোন ভাবে মেনে নিতে পারছেনা?
দুটি কচি ছেলে সন্তান নিয়ে মা হীন পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গত গত পহেলা মে সাতক্ষীরা সদরের ছনকা নিবাসী প্রসূতি শিমুলী শহরের দুটি ক্লিনিক ও সদর হাসপাতালে গিয়ে ও চিকিৎসকের অভাবে ভ্যানেই সন্তান প্রসব করেন।
বিষয় টি নিয়ে ও চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
সাতক্ষীরা’র স্বাস্থ্য সেবার নাজুকতা জনমনে বিরাজ করছে ব্যপক নাজুকতা
বিষয় টির সুস্থ তদন্তের জন্য পরিবারটি উদ্ধোতন কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
Leave a Reply