চাঁদপুর মতলবে সংস্কার করা দরকার ঐতিহ্যবাহী ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উত্তর উপজেলার ১৪নং সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া গ্রামে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। প্রয়াত বাবু মঈন সরকার এবং স্থানীয় অগ্রগামী এলাকাবাসীর উদ্যোগে সবুজ শ্যামলের অরণ্যে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি। প্রিয় এ পাঠশালায় প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক ছিলেন প্রয়াত বাবু লাল চাঁন সরকার।
১৯৬৯ সালে বিদ্যালয়টির বোর্ড রেজিস্ট্রেশন ও ১৯৭১ সালে প্রথম এসএসসি ব্যাচ প্রতিষ্ঠার জন্য ভুমিকা পালন করেন প্রয়াত আবুল হাশেম। ৮০ বছরের পুরনো এই পাঠশালায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছেন ১৬ জন শিক্ষাগুরু, এদের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত রয়েছেন। মোট শিক্ষকদের মধ্যে তিনজন নারী শিক্ষক রয়েছেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্বে আছেন জনাব মোঃ বশির আহম্মদ এবং বর্তামান সভাপতির দ্বায়িত্বে আছেন জনাব মোঃ গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী (জেলা শিক্ষা অফিসার)। প্রিয় এ পাঠকেন্দ্রে একতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন এবং টিনসেড দুটি ঘর রয়েছে। শিক্ষাদানের জন্য মোট ১৫টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিজ্ঞানাগার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। বিদ্যালয়টিতে মোট ৪৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, এদের মধ্যে ২০০ জন বালক ও বালিকা রয়েছে ২৭৮ জন। অত্র বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাশের হার ছিলো ৯০% এবং ২০১৯ সালে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাশের হার ছিলো ৮৮.৪৯%।
এছাড়া বিদ্যালয়টিতে ০১/০১/২০০১ সালে ভোকেশনাল শাখা শুরু হয়। বিএম, ডিএম এবং এফপিপি এই তিনটি ভোকেশনাল ট্রেড শাখা রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাক্তার আইনজীবী সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত আছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তবে বিদ্যালয়টির প্রবেশ পথগুলো অত্যন্ত অবহেলিত।
মাটির পথগুলো বর্ষা মৌসুমে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পরে। যেন কোন গহীন অরণ্যের মাজে দাড়িয়ে বিদ্যালয়টি। এ যাতায়াত ব্যবস্থায় বালিকারা কোনভাবেই নিরাপদ নয়। কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে দ্বায়ভার নেবে কে? সরেজমিনে যাতায়াত ব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য তদন্ত করে শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। মতলব উত্তর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ পাঠকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে নির্বিগ্নে নিরাপদভাবে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ রইল সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও যাতায়াত ব্যবস্থার অগ্রগতি সাধন করে উপজেলার মধ্যে একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান শিক্ষক, কার্যানির্বাহী পরিষদ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা
Leave a Reply