বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি মারাত্মক মহামারী করোনা ভাইরাসে ছেঁয়ে গেছে গোটা পৃথিবীকেই। গেল ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিন প্রতিমূহূর্তে করোনা-আক্রান্তের রোগী ও সংক্রমিত এলাকা বেড়েই চলছে।এতে করে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে লকডাউনে বন্ধ থাকা ফুৎপাতের নিম্নমানের ব্যবসায়ীরা। বৈষয়িক মারাত্মক প্রাণঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাস দেখে যেন মনে হয় মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছে।
দেশের বাইরে এর ব্যাপকতা প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশেও এ ভাইরাসের শঙ্কা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে (কোভিড-১৯)প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে এক এক করে দেশে বর্তমানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল শুক্রবার আইইডিসিআর এর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনলাইন ব্রিফিং এর তথ্যমতে নতুন করে রেকর্ড ৫১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঁচ জন রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এদিকে,নতুন ৫ জন রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত করে মোট ৬১ জন রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাসে অাক্রান্তের কথা নিশ্চিত করে আইইডিসিআর। এছাড়াও গতকাল নতুন করে ১৪ জন রোগী অাইসোলেশনে থেকে মোট ৮২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এদিকে মারাত্মক প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে অাক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৬ জন।
সুস্থ মস্তিষ্কে বহির বিশ্বের দিগে তাকিয়ে দেখলে বুঝা যায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস কতটা যে ভয়াবহ তা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে শুধু মৃত্যুর মিছিল। অনলাইনের এ যুগে বহির বিশ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলেই যেন চোখ বয়ে জল গড়িয়ে অাসে। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউনে বন্ধ থাকা ফুৎপাতের ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মান্য করে দিন কাটাচ্ছে চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও মানুষ নিজের করণীয় ঠিক রাখতে দিশেহারা হয়ে ঘরকোনে হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া নাই কোনো উপায়। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মান্য করে দোকান পাট বন্ধ থাকলেও থেকে নেই দৈনন্দিন খাওয়া পড়ার খরচ। ছোট ছোট ফুৎপাতের দোকান গুলোই পরিবারগুলোর একমাত্র অায় রোজগারে উৎস মাধ্যম।অার তাই প্রতিদিনের ক্রয় বিক্রয়ে দিন শেষে চাল, ডাল সহ দু’মুঠো খাবার নিয়ে ঘরে ফিরতো ফুৎপাতের দোকানীরা।
তবে সরকারি নির্দেশনা মান্য করাই চাল, ডালের সংকটে দিশেহারা হয়ে দিন কাটাচ্ছে ফুৎপাতের নিম্ন মানের ব্যবসায়ীরা। এদিকে,বিশ্বব্যাপী মারাত্মক প্রাণঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাসে এ দুর্যোগকালীন সময়ে রাধানগর ইউনিয়ন বাসীর প্রতি দেখভাল করার যেন কেউ নাই।
Leave a Reply