চরফ্যাশন ভোলা পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড কালিয়াকান্দি বাজারের বাসিন্দা সেরাজল হকের ছেলে সাজাহান গংদের বিরুদ্ধে দলিল ও রেকর্ডকৃত সম্পত্তি দেখিয়ে খালের পাড়ের খাস জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারি জাহিদ হোসেন বলেন, আমি ২০১৬ সালে কালিয়াকান্দি বাজারে সাজাহান গংদের কাছ থেকে দিয়ারা ৪৬৯৪ দাগে দলিল ও রেকর্ডকৃত একটি দোকান ভিটি ক্রয় করি। একই দাগে আমাদের স্বজনদের কাছেও তারা আরোও কয়েকটি ভিটি বিক্রি করে। কিন্তু সাজাহান গংরা আমাদের রেকর্ডকৃত জমি না দিয়ে সরকারি খালের পাড় বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা ওই খাস জমি নিতে অস্বিকার করলে তারা দির্ঘ ৪বছর যাবত আমাকেসহ আমার স্বজনদের রেকর্ডভূক্ত ওই দোকান ভিটিগুলোর দখল না দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। একই এলাকার মোকতার হোসেন,জুয়েল ও আহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমাদের কাছেও একইভাবে মন্নান,খালেক মাস্টার ও শাহ ইমরান রেকর্ডকৃত জমি দেখিয়ে খালের পাড় দিতে চাচ্ছে কিন্তু আমরা টাকা দিয়ে রেকর্ডকৃত দোকান ভিটি ক্রয় করে কেন খালের পাড় দখল নিবো ? আমরা খালের পাড় নিতে অস্বিকৃতি জানালে তারা আমাদের নানান ভাবে হয়রানি করে আসছে। আমরা স্থানিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুকে বিষয়টি জানালে তিনি সাজাহান গংদের সাথে শালিস ফয়সালা করার চেষ্টা করে। সাজাহান গং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টির চুরান্ত ফয়সালা দিচ্ছে না। এদিকে জাহিদ হোসেনের বড় ভাই জাকির হোসেন জানান, স্থানিয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাজাহান গংদের নিয়ে শালিস ফয়সালার মাধ্যমে খালপাড় থেকে একটু দূরে সাজাহান গং তাদের রেকর্ডকৃত একটি দোকান ভিটির দখল দেয়। দোকান ভিটি বুঝ নেওয়ার পর থেকে সাজাহান গং বিভিন্ন মাধ্যমে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই দোকান ভিটি জবর দখল করা হয়েছে বলে হ্যায় প্রতিপন্ন করে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন জাহিদ হোসেনের পিতা কাসেম মেলেটারি। এ অভিযোগের বিষয়ে সাজাহান গং এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা তিন ভাই জাহিদ হোসেনের কাছে ৮০ হাজার টাকায় মোট ২৪ পয়েন্ট জমি বিক্রি করি যার এস,এ খতিয়ানের ১৪৮৪ নং ও দিয়ারা ৪৬৯৬ নং দাগে। ৪৬৯৬নং দাগের ওই জমি দিয়ারার মাধ্যমে সরকার খাস বন্দবস্তে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানতামনা। তবে জাহিদ হোসেনের কাছে কাগজপত্র অনুযায়ি আমি ২৪ পয়েন্ট জমি বিক্রি করেছি তাকে আমি রেকর্ডকৃত সম্পদ থেকে ওই ২৪ পয়েন্ট জমি দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা দোকান ভিটির ২৪ পয়েন্ট থেকেও দোকানের সম্মুখভাগে প্রবেশ পথসহ ৬৬টি পয়েন্ট জমি নিতে চাওয়ায় আমি অস্বিকৃতি জানিয়েছি। এ প্রসঙ্গে জাহিদ হোসেন বলেন, তারা আমাকে খালের পাড়ে যে জমিটি দিতে চেয়েছিল সেই জমিটি বাজারের মূল পয়েন্টে থাকায় মূল্য বেশি ছিল তবে সেটি খাস জমি, তারা এখন যেখানে জমি দিয়েছে সেটি খালপাড় থেকে একটু দূরে এবং অন্য দোকান ভিটির পিছনে হওয়ায় ওই জমির মূল্য খালপাড়ের জমির চেয়ে অনেক কম।
ইঅ২১৭৬
বার্তা
Leave a Reply