গুনিজন সম্মাননা পেলেন বগুড়া শহরের পুরান বগুড়ার বাঘ মার্কা মকবুল গুল ও সম্রাট জর্দা ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী, দানবীর খ্যাত আলহাজ্ব শাজাহান আলী সম্রাট। সমাজ সেবা মূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য মাতৃজগত পত্রিকা পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি এ পদক অর্জন করেন। গত ২৬শে নভেম্বর ২০ইং রোজঃ বৃহস্পতিবার দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা মিরপুর গার্লস কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, আলোচনা শেষে সমাজ সেবা ও মানব সেবা মূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার জন্য সমাজের গুনি মানুষদের হাতে মাতৃজগত পত্রিকার সম্মাদক খান সেলিম রহমান ও আমন্ত্রিত অতিথিরা এ পদক গুলো তুলে দেন। পদকের নাম দেয়া হয় “গুনিজন সম্মাননা”।
জানা গেছে পুরান বগুড়ার গুনি এই মানুষটি বিগত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সমাজ সেবা ও সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে বিনা সার্থে সহযোগিতা করে আসছেন। কখনো ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন অন্ন, ঘর ছাড়া মানুষকে দিয়েছেন বাসস্থানের ব্যবস্থা করে, বস্ত্র ছাড়া মানুষের হাতে দিয়েছেন কাপড়। কর্মহীন মানুষের করেছেন কর্মের ব্যবস্থা। দুস্থ, এতিম মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন একাধিক, গরিব অসহায় মানুষকে কিনে দিয়েছেন রিক্সা, ভ্যান সহ খেটে খাওয়ার জন্য নানান উপকরন। শুধু এসব করেই থেমে থাকেননি দানবীর এই সন্তান, দেশের ক্রান্তিলগ্নে করোনা কালীন সময়ে ১০ থেকে পনের হাজার দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে তুলে দিয়েছেন অন্ন, বস্ত্র সহ নগদ অর্থ। করোনা কালীন সময়ে শুধু পুরান বগুড়ায় নয় সমগ্র বগুড়ায় তিনি পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য উপকরণ। তার নিজ এলাকা পুরান বগুড়ায় গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাজাহান সম্রাটের কাছে অসহায় মানুষ সাহায্যের জন্য গিয়ে কখনোই খালি হাতে নিরাশ হয়ে ফেরেননি।
শাজাহান সম্রাটের সাথে গনমাধ্যমের কথা হলে, তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্মানিয় সম্পাদক মহোদয় খান সেলিম রহমান সহ মাতৃজগত পরিবারের সকল কলাকুশলীদের কাছে, যারা আমাকে এতো বড় একটি সম্মাননা প্রদান করেছেন। এ সম্মাননা শুধু আমার একার নয়, আমি মনে করি এ সম্মাননা পদকটি সমগ্র বগুড়াবাসীর। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাকে যতদিন হায়াত দিয়েছেন, ততদিন আমি অসহায়, দুস্থ, এতিমদের পাশে থেকে তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাই। একটি পদক বা একটি পুরস্কার অমূল্য সম্পদ, যা কখনোই দাম দিয়ে কেনা যায় না। এই সম্মাননা পদকটি আমাকে ভবিষ্যতে আরো বেশি বেশি মানব সেবা ও সামাজিক ভালো কর্মকাণ্ড চালাতে উৎসাহিত করবে। খেটে খাওয়া অসহায় দুস্থ ও সাধারণ মানুষের দাবী এবং মৌন চাওয়া যেন দানবীর আলহাজ্ব শাজাহান সম্রাটের মতো বীর সন্তান প্রতিটি এলাকায় যেন একজন করে জন্ম নেয় বা তৈরি হয়।
Leave a Reply