উপকূলীয় জেলা এবং উপজেলাগুলো বার বার বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙন সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। দক্ষিণ বাংলার পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা এবং রাঙ্গাবালী উপজেলাগুলোর মানুষ প্রায় প্রতিবছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে মোকাবিলা করেন। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে জমিসহ অসংখ্য ঘর যা মানবিক বিপর্যায়। এই মানবিক বিপর্যয় কে বিলুপ্ত করতে প্রত্যেক জেলা, উপজেলায় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহ ও ভূমীহিনদের চিহ্নিত করে বিনামূল্যে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাকা ঘরসহ জমি হস্তান্তরিত করা হয়। ঘরের নির্মান কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কিছু অসাধু ঠিকাদার এবং কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দেশসহ প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুণ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় আগেই ধ্বসে পড়ছে আবার কোথাও নির্মান কাজ চলাকালীন সময় ভেঙ্গে পড়েছে ঘরগুলো। কারও নামে আবার টাকার বিনিময় ঘর দেওয়াও অভিযোগ পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধানে গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের এ যাবৎ পাঁচ শতাধিক ঘর দিয়েছেন যার প্রায় এক তৃতীয় অংশের বেশি নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার অত্র এলাকার মানুষের অধিকার নিশ্চিতে প্রদান মন্ত্রীর নির্দেশনা লক্ষে নীতি গত নিরলস ভুমিকায় কাজ করছেন। পাশাপাশি উপজেলা প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন, ঘর নির্মানে প্রতিটি ইউনিয়ে নিজেই তদারকি করছেন। এ পর্যন্ত এতগুলো ঘরের নির্মাণসহ চলমান কাজের কোন প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি বা অনিয়মের খোজঁখবর রেখে নিরালসভাবে গৃহ নির্মাণে তদারকি করছেন।এদিকে দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধধানে কোথাও একটি ঘর ধ্বসে পড়া, ভেঙে পড়া বা কোন রকম অনিয়ম কোন সুবিধা ভোগিদের কাছ থেকে জানা যায়নি। স্থানীয় মানুষ তাদের সম্মুখ সাক্ষাত, কার্যক্রম এবং আন্তরিকতায় পঞ্চমুখ হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস নিতেও দেখা যায়। উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ বলছেন সততা এবং ন্যায় নিষ্ঠার সাথে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তয়ন কর্মকর্তার আন্তরিকতায় মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সেবা মূলক কাজ করছেন। বর্তমান চলমান মুজিব শতবর্ষের শেখ হাসিনার উপহার ঘরের কাজ গুলো সঠিকভাবে স্থানীয় মানুষের অধিকার রক্ষায় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তার স্বনাম ধরে রাখবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
Leave a Reply