করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যয়ের দেশ।এটির মোকাবেলায় এবং জনগণের রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। তবুও এই আতঙ্কে পুঁজি করে কিছু অসাধু মানুষের জালিয়াতি বেড়ে চলেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ গড়ে উঠেছে একটি জালিয়াতির গ্রুপ। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন উপায়ে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করছে।
অনুসন্ধানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটম্যান পদে নওশাদ নামক ব্যক্তির মাধ্যমে করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এই গ্রুপে রাঘববোয়ালরা রয়েছেসম্পূর্ণ ধরাছোঁয়ার বাইরে। নওশাদ গং 12 ই জুলাই তানিয়া নামক এক গৃহীনিকে নেগেটিভ সনদ প্রদান করে। ওই গৃহীনির নেগেটিভ রিপোর্ট সম্পূর্ণ আইডি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। কে এমসি-২০০২৩ এবং স্যাম্পল গ্রহণের তারিখ ০৭ জুলাই,টেস্টের তারিখ 12 ই জুলাই উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার ঠিকানায় শামীম আহমেদ নামক ব্যক্তি ০৮জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফু কর্নারের স্যাম্পল টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসলেও নওশাদ গং একদিন আগেই তারিখ অর্থাৎ ০৭ জুলাই তারিখে আউডি নম্বর কেএমসি-১৯০৩১ দেখিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট কে নেগেটিভ করে প্রদান করেছে।
এদিকে কথা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরিচালক রেজা স্যার এর সাথে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়। হাসপাতালে কর্মরত একজন লিফট ম্যান কিভাবে জাল সনদ প্রদান করছে। তিনি বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে অবশ্যই এই দুষ্টচক্রকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, নওশাদ এর সাথে রিপোর্টের বিষয়ে যোগাযোগ করতে গেলে, তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন জাল রিপোর্টের বিষয়টিকে।
Leave a Reply