নেত্রকোনা জেলার হাওর অঞ্চল খালিয়াজুরী বুরো আবাদের ফসল নিরাপদে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি অফিস। তারা কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে ধান কেটে দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দেশের সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় চলতে নির্দেশ দিয়েছেন সরকার।এবং ধান কাটা পিছিয়ে গেলে আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ার আশঙ্কাও আছে বলেই কম্বাইন হারভেস্টার দানকাটার মেশিন এর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে খালিয়াজুরী হাওরের ধান কাটা। ১৬ই এপ্রিল ( বুধবার) খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান,খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি অফিস অফিসার মো: হাবিবুর রহমান জানান ,এবার খালিয়াজুরী হাওর এলাকায় ১৯ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
ধান উৎপাদন ৭৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও বাম্পার ফলনের ফলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। গার্মেন্টস ফেরত কর্মী ও অটোরিক্সার শ্রমিকরা ধান কাটায় অংশ নিচ্ছে ফলে শ্রমিক সঙ্কট নেই। পাশাপশি ধান কাটার মেশিন তো রয়েছেই। উপজেলার কৃষি অফিস এর সহযোগীতায় কৃষকের ভর্তূকি হিসেবে ৪টি কম্বাইন হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে কৃষক দের মাঝে। এবং অন্য উপজেলা থেকে ভাড়ায় আরো ১৫টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃষকরা কোনো প্রকার অভিযোগ করেনি আমাদের কৃষি অফিসে, আমরা আসা করছি আমাদের কৃষক ভাইয়েরা আগাম বন্যা হওয়ার আগের কৃষকের সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারবে।
খালিয়াজুরী সদরের কৃষক মোঃ কাচু মিয়া বলেন, আমরা আসা করছিলাম করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে পরতে হবে, কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এবং শহর থেকে গ্রামে আসা ভাইদের জন্য, আমাদের শ্রমিক সংকটে পারতে হয়নি। বরং আমরা এখন কম মূল্যে ধান কাটাতে পারছি সরকারের প্রযুক্তি ব্যবহারে কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটার মেশিনের মাধ্যমে। আপাতত শ্রমিক সংকট নেই তবে বৃষ্টি হলে এই ধান কাঁটার মেশিন গুলো আমাদের জমি কাঁটাতে পারবেনা। খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক আসতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে অংশ সকল স্থানে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত ধান কাটার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। খালিয়াজুরীর হাওরপাড়ে থাকা ২৫ হাজার ২২২ জনের বেশি কৃষক বোরো ধানের আবাদ করেই পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
Leave a Reply