পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম যোগদানের পর গুরুত্বপূ্র্ণ মামলার তদন্ত ও তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠন করেন।তারই ধারাবাহিকতায় গত দুই বছর পূর্বে সংঘটিত জোড়া খুনের পলাতক আসামী ঘাতক মোঃ আলমগীর ওরফে আলমকে গত ২৮/০৭/২০২০ইং তারিখে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, গত দুই বছর পুর্বে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের পূর্ব কল্যাণ ভোগরাম এলাকায় ডিপ(স্যালো) মেশিন ঘরে জাহাঙ্গীর ও সেলিনাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এবং হত্যার পূর্বে সেলিনাকে চারজনে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।গত এক বছরে মামলার তদন্তে কোন রকম অগ্রগতি ছিলনা। মহিবুল ইসলাম খান এসপি হিসেবে জেলায় যোগদানের পর মনিটরিং সেল গঠন এবং তার নির্দেশে ঘটনার জোর তদন্ত শুরু হয়।তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুন্নবী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল উৎপল রায় ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করলেও আসামী আলমগীর ওরফে আলম দাড়ি রেখে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন। তদন্তের এক পর্যায়ে আসামী আলমগীরকে গত ২৮/০৭/২০২০ইং তারিখে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে প্রথমে তিন দিন, পরে আবারো তিন দিন পুলিশ রিমান্ডে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আসামী আলমগীর। ঘটনায় জড়িত মফিজুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, সাজু মিয়া ও আশরাফুলের নাম প্রকাশ করে বিজ্ঞ আদালতে গত ০৫/০৮/২০২০ইং তারিখে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জানান, গুরুত্বপূ্র্ণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।অপরাধীরা পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে পার পাবেনা,ধরা তাদের পরতেই হবে।বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply