কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দরিদ্রদের ভিজিডি’র চাল বিক্রয় ও আত্মসাতের দায়ে খলিশাকুন্ডি ইউপি চেয়ারম্যান-এর বিরুদ্ধে আদালত স্বপ্রনোদিত মামলা করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক সেলিনা খাতুন এ মামলা দায়ের করেন। যার ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৯০(১) (সি) এর এখতিয়ার বলে ক্রিমিনাল মিস কেস নং ০২/২০২০।
মামলার আদেশে উল্লেখ করা হয়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের এক মহিলার নামে মহিলা অধিদপ্তরের দেওয়া ভিজিডি কার্ড হলেও তিনি কার্ড সম্পর্কে জানেন না এবং তার নামে কে চাল উত্তোলন করেছেন তাও তিনি অবগত নন। উক্ত চাল খলিশাকুন্ডি ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস এর একটি দল আত্মসাত করেছে বলে ভূক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেছেন। আদেশে আরও উল্লেখ করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বর কর্তৃক এলাকার অসহায় মানুষের চাল আত্মসাত এর ঘটনা নতুন নয় মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। ইহা একটি ফৌজদারী অপরাধ। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আগামী ১০/০৬/২০২০ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানাকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বিশ^াস বলেন, একটি মহল যোগসাজস করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা বানোয়াট নিউজ করানোয় আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হয়েছে। এখন আমি জানতে পারছি ওই মহিলা তার চাল পাননি। তাছাড়া ওই মহিলাও কোন দিন আমার কাছে আসেননি। দৌলতপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরৎ জাহান বলেন, ভিজিডির চাল আত্মসাতের বিষয়টি তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এছাড়া শুনেছি ইতোমধ্যে আদালতও স্ব-প্রনোদিত মামলা করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি এই বিষয়টি নিয়ে আমরা সমন্বিত ভাবে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আরিফুর রহমান জানান, সরকারী চাল আত্মসাতের ব্যাপারে আদালত কর্তৃক মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে আদেশের কপি এখনও হাতে পায়নি। হাতে পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply