কিশোর? নামটায় অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয় সকলকে, আনন্দ ফুর্তি কাদা ছোড়াছুড়ি কত রকম খেলাধুলা করে সময় কাটানোর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। কিন্তুু সেই কিশোর নাম শুনলে মানুষ এখন আতংকে থাকে, কারণ কিশোরের সাথে নতুন নাম যোগ হয়েছে( গ্যাং) হয়েছে কিশোর গ্যাং মানে একটি নতুন বাহিনী। এদের বয়স ১২থেকে শুরু, প্রথমে ঘরের কারো কথা শুনেনা,করে বসে নতুন নতুন কিছুর বায়না, না পেলে চলে নিজের মতো করে, সেই সকল বন্ধুদের সাথে জড়িয়ে পড়ে, শুরু হয় নিজের চাহিদা মেটাতে ছিনতাই, চুরি, মাদক সহ না না অপরাধ মুলুক কাজ। আবার এসব কিশোর গ্যাং এর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নাম, এরা পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডায় মেতে থাকে, কেউ যদি কিছু বলতে যায়, তখন তার সাথে করে খারাপ ব্যাবহার করে মারধোর পর্যন্ত। প্রতিদিন ঘটছে খুনের মতো ঘটনা। বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,ছেলের হাতে পিতা মাতা খুন, এসব কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে সমাজে আরও বহু রকম অপরাধের। এদের নেই কোন ইনকাম নেই চাকরি, ব্যাবহার করে নামি-দামী ব্রান্ডের মোবাইল, চলে বাইকে করে এদের অনেকের বাবা রিক্সার ড্রাইভার, মা কাজ করে গার্মেন্টসে, পোশাক আশাক দেখলে মনে কোটিপতির ছেলে, এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতাদের মিটিং মিছিল ও নিজের দল ভারি করতে এসব কিশোরদের ছত্রছায়া দিয়ে থাকেন, আর তারা নির্ভয়ে করে সকল ধরনের অপরাধ মুলুক কাজ,যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এসব কিশোর গ্যাং এবং এদের আশ্রয় দাতাদের আইনের আওতায় এনে কঠিন সাজা দেওয়া জরুরি, এখনি সময় এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এক সময় ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে কিশোর গ্যাং নামক এই বাহিনী।
Leave a Reply