ইমাম হোসেন হিমেল স্টাফ রিপোর্টার।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় গতকাল এবং আজ এ দুইদিন টানা ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে স্থানীয় মৎস্য ও সবজি চাষীরা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মৎস্য চাষী ও গৃহস্থলির আঙ্গিনায় সবজি চাষিরা। করোনার চলমান পরিস্থিতিতে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের মানুষেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় নিজেদের স্বাবলম্বী রাখতে বেছে নিয়েছিলেন নিজেদের পুকুর ও আঙ্গিনায় জায়গা। নিজেদের অনাবাদি (পতিত জমি) আঙ্গিনার জায়গাটুকুকে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে আবাদি ও সোনার আঙ্গিনায় এবং পুকুর গুলোতে নানা প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে আসছিল। করোনা এবং আম্পানের ধকল কাটিয়ে একটু সুখে থাকার আশায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণে এসব চাষীদের ভবিষ্যতের আশা-নিরাশায় পরিণত হয়েছে।
ভারী বর্ষণের পানিতে পুকুর গুলো প্লাবিত হয়ে বাগানের সাথে মিলিন হয়ে যায়। পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কৃষি জমির মাঠে চলে যায়। আঙিনার চাষ করা সবজি বীজ গুলোর গোড়ায় পানি জমে পঁচন ধরে।
ক্ষয়ক্ষতির কবলে পড়া এমন একজন কৃষক ছলেমান উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ানের ৯ নং ওয়ার্ডের এ কৃষক ২০ কাঠা জমিতে এবং বসতবাড়ির আঙ্গিনায় প্রায় ২০০০ হাজার টাকা খরচ করে বিভিন্ন প্রজাতির সবজির বীজ বপন করেছিল। কিন্তু ভারী বর্ষণের পানিতে সে বীজগুলোর গোড়ায় পানি জমে পঁচন ধরে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে জমি স্বল্প মেয়াদি লিজ নিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকার মাছের পোনা অবমুক্ত করেছিলেন। তার কিছুটা আম্পানের সময় এবং বাকিটা গত ২ দিনের ভারী বর্ষণের পানিতে প্লাবিত হয়ে মাছ পাশের কৃষি জমিতে চলে যায়। কৃষক বাদশার এ ক্ষতি যেন মরার উপর খরার ঘা এর মত। এমন কৃষকের সংখ্যা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক আছে যারা গত দুই দিনের ভারী বর্ষণের কারণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন।
Leave a Reply