শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার! ? Matrijagat TV

শাহাদাত আনোয়ার মতলব চাঁদপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০

প্রথম বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরিব দেশ সেটা করে দেখিয়ে দিবে বললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সরকার। চাঁদপুর মতলব উত্তরে ১০ নং পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়ন গ্রাম সিপাইকান্দি।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মতলব বাসীর প্রতি অনুরোধ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনা উল্লেখ করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিরে ঘোরাঘুরি না করে যতদূর সম্ভব নিজের ঘরে থাকা, সেই সাথে নিজেকে , পরিবার ও সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখেন। করোনা এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস। এটি মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। এখন পর্যন্ত কোন টিকা বা প্রতিষেধক আবিস্কৃত না হওয়ায় জনসচেতনতার মাধ্যমেই এর প্রতিরোধ করতে হবে।

নিজকে, পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশিকে এ সংক্রামক ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা মেনে চলার জন্য মতলব উত্তর- মতলব দক্ষিণ উপজেলা বাসির প্রতি অনুরোধ করলেন আসুন, আমরা আগামী দু-সপ্তাহ মাত্র তিনটে কাজ করি বেশি না। (এক), বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিই। বন্ধ মানে বন্ধ। পাড়ার চায়ের দোকানটুকুও নয়। আত্মীয় বন্ধু প্রতিবেশী কারোর বাড়ি যাবেন না, তাদেরও নিজের বাড়িতে ডাকবেন না। যেখানে ভিড় বেশি, দশজনের বেশি লোক জমায়েত হয়েছে সে জায়গা এড়িয়ে চলুন, সে শপিং মল হোক কি ধর্মীয় স্থান। দুসপ্তাহ সেদ্ধ ভাত খেয়েই চালিয়ে নিন। চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ মজুত আছে এতদিনে। বিরিয়ানি মশলা কিনতে না বেরোনোর প্রতিজ্ঞা করুন। (দুই,) সাধারণ হাইজিন মেনে চলি। খাবার আগে এবং ঘন্টায় অন্তত একবার করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। নাকে-মুখে হাত যথাসম্ভব কম দিন, হাত না ধুয়ে তো নয়ই। (তিন,) “আমি একা কি করব? সবাই তো মানছে না” – এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মাধ্যমে যদি একজনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় সে হল আপনার প্রিয়জন। বাবা-মা-স্বামী-স্ত্রী-সন্তান। যার সঙ্গে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছেন তাকে আপনিই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন না তো? বয়স্ক মানুষ ছাড়াও যাদের হাইপ্রেসার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনি, ক্যান্সার বা অন্য কোনো সাধারণ ক্রনিক রোগ আছে, করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে এলে তাঁদেরও মৃত্যুর হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। (তিন) এই তিনটি বিষয়, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বাইরে না বেরোনো। কতদিন না বেরিয়ে সম্ভব ? ঠিক দু-সপ্তাহ । আপনি হয়ত স্ট্রং, সাধারণ ফ্লুয়ের উপসর্গও নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আপনি হয়তো ঠিক সুস্থ হয়ে যাবেন। কিন্তু চোদ্দ দিনের মধ্যে আপনি যদি কোন অন্য মানুষের সংস্পর্শে আসেন তাহলে তাঁর জীবন বিপন্ন হতে পারে। এটা ভেবে শিক্ষিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে যদি এটুকু মেনে চলেন তাহলেই আমরা অনেকটা নিরাপদ থাকব। আসুন দেখিয়ে দিই, প্রথম বিশ্বও যেটা পারেনি, আমাদের গরিব দেশ সেটা করে দেখিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © Matrijagat TV
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
matv2425802581