চলমান লকডাউনে কর্মজীবী সাধারণ মানুষ কর্মহীন। বিগত ২৫ শে মার্চ থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ছে । সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষের বাহিরে অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। কেউ ব্যবসা করেন, কেউ নিজ উদ্যোগে কোন না কোন কাজ করেন, আবার কেউ দিনমজুর। কিন্তু সকলের সব কাজ বন্ধ। করোনা ভাইরাসের ভয়ে ও সরকারি নির্দেশনা মেনে জীবন বাঁচার তাগিদে ইচ্ছা থাকলেও কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারছেন না। এক্ষেত্রে চরম অভাব অনোটন দেখা দেয়। সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ ব্যবস্থা অপ্রতুল। যদিও প্রচার প্রচারনা থাকে সরকারি ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে সেক্ষেত্রে ঐ ত্রাণ কর্মহীন মানুষের কাছে সঠিকভাবে আসছে না। কোথাও কোথাও যে ত্রাণ আসে সে ত্রাণের পরিমাণও খুব কম। যা দিয়ে বাস্তব জীবনে একটা পরিবারের চলার জন্য যা প্রয়োজন তা মিটানো কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। আবার দেখা যায় সুষম বন্টনের অভাবে অনেক পরিবারের নিকট কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। এমত অবস্থায় সমাজের কিছু বিত্তশালী নিকটস্থ ব্যক্তিদেরকে ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করছে যা খুবই মানবিক কাজ। তবে যারা সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন , সমাজের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসছেন, নেতৃত্বে আসীন রয়েছেন তারা যে সাহায্য সহযোগিতার মানষিকতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছেন তা দিয়েও এই দীর্ঘ সময় টানা লকডাউনে একটা পরিবার জীবন অতিবাহিত করা খুবই মুশকিল। তবে কিছু কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতা ও সমাজসেবক রয়েছে তারা করোনা ভাইরাসে অব্যাহত লকডাউনে সমাজের সাধারণ মানুষের হৃদয়ের ক্ষতগুলো চিহ্নিত করে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসে। যারা এগিয়ে আসছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো খুবই প্রয়োজন এবং তারা যে সত্যিকারের মানবিক ও নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখেন তা স্পষ্ট। সরজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রাম মহানগর ১১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কাট্টলীর বিশিষ্ট সমাজসেবক খন্দকার এনামুল হক বাবলু পায়ে হেঁটে মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে কোন প্রকার প্রচার প্রচারণা ছাড়াই গোপনে একটি পরিবারের প্রয়োজন মিটানোর মত খাদ্যসামগ্রী প্রদান করছেন। সেক্ষেত্রে একটি পরিবার চলমান মাহে রমজানে সাময়িক অসুবিধা থেকে পারিবারিক জীবন যাপনে সমস্যা অনেকটা লাঘব হবে বলে ত্রাণ সামগ্রী প্রাপ্তরা জানালেন। এক্ষেত্রে এমন ব্যক্তির নিকট ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছিয়েছেন যাদের অন্তরের ক্ষতস্থানগুলো খন্দকার এনামুল হক বাবলু পুরণ করতে পেরেছেন বলে অনেকের মুখ থেকে শোনা যায়। যা আগামী জীবনের জন্য উজ্জল নজির স্থাপন করেছেন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করেন। ফলে অনেকেই এই দুর্দিনে মানুষের কল্যাণে তার এই মহৎ উদ্যোগকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান।
Leave a Reply