সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় বিনা চিকিৎসায় আব্দুস সালাম (২৩) নামে এক তরুন সাংবাদিকের করুণ মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার ২৯ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। সে উপজেলার বারুই হাটি গ্রামের সিরাজ মোড়লের ছেলে।
নিহতের পরিবারিক সুত্রে প্রকাশ, গত ২ সপ্তাহ যাবৎ লিভার সিরোসিস (জন্ডিস) রোগের কারনে রক্তশুণ্যতা সহ কোমরের ব্যাথায় ভুগছিলেন তিনি। গত ২৮ এপ্রিল সকালে মারাত্বক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে তালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রিফার্ড করে দেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ৭/৮ ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিল সে। তার পরিবার আরও জানায়, করোনা সন্দেহে ডাক্তাররা তার ধারে কাছেও আসেনি। বুধবার সকালে ডাক্তাররা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বললে, আমরা বিকালে বাড়িতে নিয়ে এসে দেখি সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আব্দুস সালাম অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পাশের কিছু প্রতিবেশী করোনার ভয়ে কবিরাজি চিকিৎসাও নিতে দেয়নি।
অসুস্থ ব্যক্তি একজন সাংবাদিক হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে গিয়ে বিনাচিকিৎসায় মারা গেল?
বিষয়টি যেমন সবাইকে বিস্মিত করেছে তেমনি হয়েছে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন!
এখানে প্রশ্ন থেকে যায় একজন সাংবাদিক হয়েও যখন আব্দুস সালাম বিনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে ডাক্টারের অনুপস্থিতে মারা গেলো?
তখন সাধারন মানুষ কিভাবে সেবা পাবে এটাই ভাবার বিষয়!
আব্দুস সালাম ঢাকা থেকে প্রকাশিত (আমার প্রানের বাংলাদেশ) পত্রিকার তালা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন এবং মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম তালা শাখার একজন সদস্য ছিলেন।
তার এই অকাল মৃত্যুতে তালা প্রেসক্লাব,
রিপোটার্স ক্লাব, মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম তালা শাখার নেতৃবৃন্দ তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
২৯ এপ্রিল বুধবার রাতেই তরুণ সাংবাদিক আব্দুস সালাম তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হয়েছেন।
আমরা তার বিদ্রোহী আত্নার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি সেই সাথে ডাক্টারদের অবহেলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
Leave a Reply