সারা বিশ্বের মানুষ আজ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে দিশেহারা । করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ।সকল পেশার মানুষকে প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই করোনাভাইরাস মোকাবেলাতে অসহায় হয়ে পড়েছে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জীবিকা নির্বাহের জন্য শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। এই মানুষগুলো যাবে কোথায়! সকল ধর্মের মর্ম কথা সবার উপরে মানবতা, সবার উপরে মানুষ সত্য, তহার উপরে নাই..! এসব বাণী জ্ঞানী গুনী মনিরিশীদের।
তাঁদের বাণীর সুত্র থেকেই যুগ যুগান্তর থেকে চলে আসছে নানা ভাবে মানব সেবার কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা মহামারি যখন গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে তখন ঝুকি জেনেও যশোর শহরের ঘষ্ঠীতলা পাড়ার গৃহবধু শ্রাবণী শান্তার । গরীব দুখী মেহনতী মানুষের পাশে বাড়িয়ে দিয়েছেন তার মানবতার হাত। সুযোগ পেলেই করছেন সাহায্য সহযোগিতা। চাল, ডাল, তেল, নুন, সাবান নিয়ে ছুটে চলেছেন মনুষের দ্বারে দ্বারে। তিনি কোন নেত্রী নন, নন কোন সরকারি উচচ পদস্থ কর্মকর্তাও। ছ্রেফ একজন গৃহবধু হয়ে যশোরের অসহায় কর্মহীন মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী। মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে অসহায় হয়ে পড়ে, যখন শুরু হয় ত্রাণ তৎপরতা সেই মার্চ মাসের ২ তারিখ থেকে শহরের বিভিন্ন বস্তি, গ্রাম, রিক্সা চালক ও দিনমজুরদের খুজে খুজে রাতের আধারে নিরবে সহায়তা করে চলেছেন দুই সন্তানের জননী শান্তা। ২৬শে মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিনই তিনি নগদ অর্থসহ খাদ্য সামগ্রী ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করে চলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ৩ হাজার মানুষকে সহযোগিতা করছেন। কেন তিনি ঝুকি জেনেও মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন, এ বিষয়ে গৃহবধূ শান্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ছোট বেলা তেকে এ অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াতে ভালোবাসি।
তিনি বলেন আমি জানি করোনা ভয়ংকর ছোয়াছে রোগ, তারপরও ঘরে আমার সন্তানদের রেখে আমি মানুষের পাশে ছুটে যায়। আমি ঘুমাতে পারি না, যখন মনে হয় ওই মানুষ গুলো না খেয়ে পেটে বালিশ বেধে ঘুমিয়ে পড়েছে। আর যখন দেখি ত্রাণের চাহিদায় অসহায় মানুষ গুলো ছুটে ছুটে না খেয়ে মরছে, তাদের পাশে কেউ দাড়ায় না, যশোরের নেতারা চুপ করে বসে আছে, তখন আমরা কি করে ঘরে বসে থাকবো। তিনি বলেন যতদিন পারি আমি অসহায় মানুষে পাশে থাকবো।
Leave a Reply