বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম “করোনাভাইরাস”। যার পোশাকি নাম কোভিড-১৯। অতি অল্প সময়ে এটি এখন বিশ্ব মহামারী। হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা “করোনাভাইরাস” সারাবিশ্বের ঘুম ভাঙার আগেই ছড়িয়ে পড়লো সারা বিশ্বে। “করোনা” সংক্রমনের জন্য প্রস্তুুত ছিল না বিশ্বের কোন দেশই।যার কারণে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া দেশগুলো ও আজ ” করোনা” সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রাণঘাতী “করোনাভাইরাস” ১৮ মাসের ব্যবধানে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।
” করোনাভাইরাস ” শব্দটি ল্যাটিন ভাষার করোনা থেকে নেয়া হয়েছে। যার অর্থ ‘মুকুট ‘। ল্যাটিন এবং রাশিয়ান দুই ভাষাতেই করোনা শব্দের অর্থ ‘ মুকুট ‘।প্রাচীন গ্রীক শব্দ করোনা থেকে সপ্তদশ শতকের দিকে লাতিনে আসে করোনা শব্দটি। করোনা শব্দের অর্থ পুষ্পমাল্য বা পুষ্পমুকুট।’ করোনা শব্দটির অর্থ আলোর বলয়।( সাধারণভাবে
পূর্নগ্রাস গ্রহনের সময় সূর্যের চারপাশে যে দেখা যায়)। ফরাসী ভাষায় ‘ নুভেল’ শব্দের অর্থ নতুন। করোনা শব্দের অর্থ সূর্যের ছটা।অর্থাৎ নতুন সূর্যের ছটা।আবার করোনা শব্দের অর্থ জ্যোতিবর্লয়।সূর্য থেকে ছিটকে পড়া আলোকরশ্মির মতো হওয়ায় ভাইরাসটির নামকরণ হয়েছে “করোনাভাইরাস “স্পানিশ ভাষায় ” করোনা” শব্দের অর্থ ক্রাউন বা রাজমুকুট!
করোনাভাইরাস এক ধরনের ভাইরাসের শ্রেণীবিশেষ।মুকুট বা ক্রাউনের মতো এই ভাইরাসের বাহ্যিক চেহারা।যে ভাইরাসের প্রকোপের জেরে জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে,তার আদত নাম ‘২০১৯ নোভেল “করোনাভাইরাস “।(সংক্ষেপে 2019-n cov) । ২০১৯ সালে সর্বপ্রথম ধরা পড়ে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে।।এই ভাইরাস করোনাভাইরাস শ্রেনির এক প্রতিনিধি।
রোগের নাম ‘ করোনাভাইরাস ডিজিজ ‘(covid-19) এবং এই রোগের জন্য দায়ী ভাইরাসের নাম ‘ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস 2’ (SARS-COV-2)।
ভাইরাসের নাম দেয়া হয় তাদের জেনেটিক গঠন অনুযায়ী। পাশাপাশি যে টেষ্টের মধ্যে দিয়ে ভাইরাসটির পরিচয় মিলছে, তার নামের সঙ্গে ও সাযুজ্য বজায় রাখা হয়।ভাইরোলজিষ্ট এবং বৈজ্ঞানিকরা সাধারণত ভাইরাসের নামকরণের দিকটি দেখেন।বিশ্বে ভাইরাসের নামকরণ করে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন ট্যাক্যোনমি অফ ভাইরাসেস( ICTV)। ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ ডিজিজেসে’র(ICD) তালিকায় বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্থা রোগের নাম দেয়। তাই চালু থাকে গোটা পৃথিবী জুড়ে।
Leave a Reply