গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অধিভুক্ত কক্সবাজার জেলার সর্ব বৃহৎ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মরিচ্যায় অন্তর্গত পালং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে কম্পিউটার অফিস অ্যাপলিকেশন (৩৬০ঘন্টা) ৬ মাস মেয়াদী (জুলাই-ডিসেম্বর) কোর্স এর অংশগ্রহণকারী ২০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৬ জন এ+ সহ গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও স্বত্ত্বাধীকারি জনাব মোহাম্মদ ইয়াকিন (সাংবাদিক) কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পাশাপাশি কম্পিউটার শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান অত্র পালং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের নতুন, প্রাক্তণ সকল প্রশিক্ষণার্থী, অভিভাবক ও শুভাখাঙ্খীদেরকে কৃতজ্ঞতা জনান এবং সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, গত বছর ১০-এ অক্টোবর ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কক্সবাজার জেলার সর্ব বৃহত্তম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মরিচ্যার “পালং কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিভুক্ত হলো ২০১৯ সালের প্রারম্ভে।
মরিচ্যা, কোর্ট বাজার তথা উখিয়া উপজেলার তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) ও কারিগরি শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থী এবং বেকার শিক্ষিত সমাজের জন্য এক বিশাল সুখবর বয়ে আনলো মরিচ্যার এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারি এবং পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াকিন বলেন- “বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যোগে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের যুব সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান আহরণ করে প্রযুক্তি নির্ভর কর্ম প্রক্রিয়া চালাতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে উখিয়ার শিক্ষিত সমাজ চাকরিতে অগ্রাধিকারে পিছিয়ে পড়ার প্রধান কারণ কম্পিউটারে অনভিজ্ঞতা। বর্তমানে এনজিও গুলো তাদের সকল প্রকার তথ্য ধারণ করে কম্পিউটারের মাধ্যমে। কাজেই কম্পিউটারে অনভিজ্ঞ হওয়ার ফলে আমরা পিছিয়ে আছি চাকরির বাজারে।”
তিনি আরো বলেন- “আমাদের গ্রাম পর্যায়ের বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সকল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ শিক্ষার্থী আইসিটি বিষয়ে ফেল করে। আইসিটি হলো সর্ম্পূর্ণ একটি কম্পিউটার সংশ্লিষ্ঠ বিষয়। আমাদের গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারে অনভিজ্ঞ হওয়ার কারণে এই বিষয়ে ফেল করে বেশি । কাজেই অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শেখার গুরুত্ত্ব অপরিসীম।”
তিনি আরো জানান- “আমি কক্সবাজার সদর উপজেলা কমিউনিটি ই-ট্রেনিং সেন্টারে “সহকারি প্রশিক্ষক কম্পিউটার” হিসেবে দায়িত্বরত থাকাকালীন আমার উখিয়া উপজেলার শিক্ষিত সমাজকে জেলার সাথে তালমিলিয়ে চলার লক্ষ্যে কম্পিউটারের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করার গুরুত্ব অনুভব করতাম। মহান আল্লাহর রহমতে মরিচ্যাতে আমি এই যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
প্রশিক্ষণার্থী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সুন্দর মনোরম পরিবেশে বিরাজমান, রয়েছে ৩০ টি কম্পিউটার। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সম্বলিত এই প্রতিষ্ঠানে ১৫০ এর অধিক প্রশিক্ষণার্থী অধ্যায়ণরত আছেন।
তিনি আরো জানান, ইতিপূর্বে প্রায় ৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী কম্পিউটারের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় প্রশিক্ষণার্থী ভালো অবস্থানে চাকরি পেয়েছেন। কেউ কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে কেউ কাউন্টার ম্যানেজার হিসেবে আবার কেউবা কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে।
তিনি সকলের নিকট উক্ত প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল হওয়ার জন্য দোয়া কামনা করেন ।
Leave a Reply