বাংলাদেশকে বহিঃর্বিশ্বে অধিকতর সু-পরিচিত গড়ে তুলার কার্যকরী ভুমিকা রাখে পরিবেশের রাণী কক্সবাজার। কক্সবাজারে রয়েছে ১২০ কি:মি দীর্ঘ আয়তন বিশিষ্ট বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের প্রধান আকর্ষিত পর্যটন স্পট হিসেবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের মনে স্থান করে নিয়েছে।
বিশ্বের হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন ভ্রমণে আসে এই কক্সবাজারের বৃহত্ত্বম সমুদ্র সৈকতে । এছাড়াও অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন দর্শণীয় পর্যটন স্পট রয়েছে এই জেলাতে।
স্পট গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টীন প্রবাল দ্বীপ, ইনানী সী-বীচ, হিমছড়ি প্রকৃতিক বড় ঝর্ণা, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, সাব-মেরিন ক্যাবল, মহেশখালী, কুতুবদিয়া দ্বীপ, রেডিয়েন্ট ফিস ওয়াল্ড, দরিয়া নগর, রামু সেনা নিবাস ইত্যাদি।
মানবতার দিক দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের নিকট আরো সু-পরিচিত করেছে কক্সবাজারের সাধারণ জনগন।
২০১৭ সালের শেষ দিকে বিশাল পরিমানের অদ্ভোসিত এক রুহিঙ্গা জনগোস্টিকে মাথা গোজার জন্য আশ্রয় স্থান দিয়েছে এই কক্সবাজারের সাধারণ জনগন।
কক্সবাজার জেলার মোট আয়তন ২৪৯১.৮৬ বর্গ: কি:। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই জেলার মোট জনসংখ্যা ২২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৯৯০ জন। প্রতি বর্গ কিলো: জনসংখ্যার ঘনত্ত্ব ৯৯২০জন।
রয়েছে ৮ টি উপজেলা ৮টি থানা, ৭১টি ইউনিয়ন, ৯৯২ টি গ্রাম।
জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পর্ালোচনা করলে দেখা যায়, সর্বশেষ ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১টি। মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১টি, স্নাতকোত্তর কলেজ ২ টি, কামিল মাদ্রাসা ৪ টি, ডিগ্রি কলেজ ১১টি, ফাজিল মাদ্রাসা ১২ টি, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ১৯ টি, আলিম মাদ্রাসা ১৯টি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ১টি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪০ টি, দাখিল মাদ্রাসা ১০৪ টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫২টি, প্রথমিক বিদ্যালয় ৭০১টি।
কক্সবাজারের জনসংখ্যার স্বাক্ষরতার হার হলো মাত্র ৪০%।
উপরোল্রেখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জনসংখ্যার হার নিয়ে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কক্সবাজার জেলার জনসংখ্যার পরিমান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন সামঁজস্যতা নাই।বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিমান রয়েছে অনেক কম।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রতিটি জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। গেলো সপ্তাহে অনুমোদন পেয়েছে আরো ৪ টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়।
সুনামগঞ্জে হবে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জে হবে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুরে হবে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। কিশুরগঞ্জে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়। উক্ত ৪ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বর্মানে বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাড়ালো ৫০টি।
কক্সবাজারের আনাচে কানাচে রয়েছে বহু-প্রতিভাবান মেধাবী। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় পদে অধিষ্ঠ রয়েছে কক্সবাজারের অনেক সূর্য সন্তানেরা। এই জেলাতে রয়েছে আরো বহু প্রতিভাবান মেধাবী শিক্ষার্থী । কিন্তু শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য নাই পর্যাপ্ত পরিমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দেশের সেরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তী যুদ্ধ করে পড়ার সুযোগ পেয়েও অনেকে দুরত্ত্বের কথা চিন্তা করে পড়েনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।
বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে।
সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায়, বাংলাদেশকে বহিঃবিশ্বে আরো বেশী সু-পরিচিত গড়ে তুলতে পর্যটক মুখরিত এই কক্সবাজারে একটি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সময়ের দাবী।
অত্র জেলার সর্স্থরের মানুষের দাবী কক্সবাজারের প্রতি সু-দৃষ্টি পড়বে দেশরত্ম মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় পদস্থ মহোদয়দের।
“দাবী মোদের একটাই, কক্সবাজারে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় চাই”,
“না পেলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে কোথায়?”
“দাও শিক্ষার অধিকার, কক্সবাজারে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতিব দরকার”
Leave a Reply