কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ আউলিয়াবাদের নূর মোহাম্মদ আনচারির বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার আইডি কার্ডে পিতা হিসেবে উল্লেখ করা ব্যক্তি মৃত এজাহার মিয়া তার জন্মদাতা পিতা নয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। চতুর নূর মোহাম্মদ আনচারি তথ্য গোপন করে মায়ের তৃতীয় স্বামীর খতিয়ান ব্যবহার করে সুকৌশলে আইডি কার্ড হাতিয়ে করে বলে সূত্রে জানায়। ১৫সালের দিকে আইডি কার্ডের জন্য স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ে লাইনে দাঁড়ালে রোহিঙ্গা বিধায় তৎকালীন চেয়ারম্যান ও তার প্রতিনিধিরা তাকে বারবার বের দিলেও তাদের অজান্তে সুকৌশলে আইডি কার্ড করে নেয়। বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়, আইডি কার্ডে উল্লেখিত মৃত এজাহার মিয়ার হাতে তার মাকে বিয়ে দেন ঈদগাঁও ইউনিয়নের জাগির পাড়ায় আশ্রয় নেওয়া একটি পরিবার। তিনি আর তার মৃত বড় বোন এজাহার মিয়ার সন্তান নয়। তার বয়স ১৫/২০বছর অবস্থায় তার মাকে ২নং ওয়ার্ডের এজাহার মিয়াকে আশ্রয় দেওয়া ঐ পরিবার। অবশ্যই এজাহার মিয়ার একটি মেয়ে রয়েছে। যাকে বিয়ে করেছিল সৈয়দ আলম নামের একজন ড্রাইভার। পরবর্তীতে ছাড়াছাড়ি হয়ে বর্তমান গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার মৃত বড় বোনের মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি ইসলামপুর হাজি পাড়াস্থ একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় চাকরি করছেন। রোহিঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় তাকে ওখান থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রে জানা গেছে। মূলত মিয়ানমার থেকে এসে ঈদগাঁও মাইজ পাড়ায় একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। এরপর ওখান থেকে একই ইউনিয়নের জাগির পাড়ায় আশ্রয় নেয়। ওখান থেকেই উল্লেখিত এজাহার মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। পার্শ্ববর্তী স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের ঘরে ইতিপূর্বেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজনের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তার মা মরে যাওয়ার পর তা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। চৌকিদার বাবুলের কাছে জানতে চাইলে বলেন,সে রোহিঙ্গা, আইডি কার্ডে যে পিতার নাম আছে, সেটা নুর মোহাম্মদ আনসারির পিতা নয়।চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক জানান,এলাকায় তার কোনো বংশ আমি দেখিনি,তদন্ত করলে সব বের হবে। এবিষয়ে তার এই 01838-966422 নাম্বারে কল দিলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্যও নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply