সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারে ও চলছে করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া এক সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধের কঠোর লকডাউন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন, প্রথম দিনে কক্সবাজার শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এর প্রভাব। সরকার ঘোষিত ৫ম বারের লকডাউন বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে। শহরের প্রবেশমুখ বাস টার্মিনাল,কলাতলী মোড়, লিংকরোড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে একাধিক চেকপোস্ট। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গিয়েছে এমন চিত্র। এদিকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামানসহ প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। কক্সবাজার জেলা জুড়ে মাঠে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে চলাচল করতে দিচ্ছেনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এবং কি যারা অযথা রাস্তায় চলাচল করছে তাদের চেকপোস্টে ডেকে সাবলীল ভাষায় বুঝানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের এই লকডাউনে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। তাদেরই একজন রিকশাচালক বাবুল মিয়া কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, রিকশা চালায় আজ আমি প্রায় বিশ বছর ধরে দিনে এনে দিনে খায় বাসায় চাল না থাকায় এই লকডাউনের মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি মাত্র ৪০ টাকা বাড়া মারছি কি করবো আর অভাবের সংসার। তবে কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা, সিএনজি পাড়া-মহল্লার ভিতরে চলাচল করতে দেখা গেছে। হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলে ও খোলা ছিলো মুদির দোকান এবং খাবারের দোকান ও অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় মানুষের চলাচল অনেক কমছিলো কিন্ত সকাল থেকে শহরে টহল অভিযানে ছিলেন জেলা প্রশাসন, বিজিবি, ও সেনাবাহিনী।
Leave a Reply