উল্লাপাড়ায় রোববার সকালে করোনায় আক্রান্ত এক পুলিশ সদস্য উল্লাপাড়ায় তার ভাড়া বাড়িতে আসে। পরে তিনি পৌর শহরের ইবনেসিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডা. সুকুমার সুর রায়ের কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং পাশের অনুপম মেডিকেল হল থেকে ওষুধ ক্রয় করেন। তিনি বাড়িতে এসে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সংস্পর্শে আসে। এই কারণে উপজেলা প্রশাসন সোমবার সকালে পৌরশহরের থানা মোড়ে ইবনেসিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, অনুপম মেডিকেল হল, ডা. সুকুমার সুর রায়ের বাড়ি ও ওই পুলিশ সদস্যের ঝিকিড়া মহল্লার ভাড়া বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন।
জানা যায়, উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া মহল্লায় ভাড়া করা বাসায় তার পরিবার বসবাস করে আসছেন। তিনি বর্তমানে বগুড়া আদালতে কর্মরত আছেন। তার শরীরে কয়েকদিন ধরে তার করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় নমুনা প্রদান করেন। এ অবস্থায় রোববার সকালে তিনি তার উল্লাপাড়ার ভাড়া বাড়িতে বাড়িতে আসেন। পরে দুপুরে ইবনেসিনা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডা. সুকুমার সুর রায়ের চিকিৎসা নেন এবং থানার মোড়ে অনুপম মেডিকেল হল থেকে ওষুধ কেনেন। বিকেলে বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত তার ছেলে পিতার করোনা পজেটিভ এর ফলাফল জানতে পারেন। তিনি রাতেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে উল্লাপাড়ায় এসে বাবাকে বগুড়ায় নিয়ে যান। সকালে এই ঘটনা জানাজানি হলে প্রশাসন এই পুলিশ সদস্যের ঝিকিড়া মহল্লার বাড়িসহ তার সংস্পর্শে আসা উল্লিখিত বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউন করে দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, ওই পুলিশ সদস্য বাড়িতে এসে তার দুই মেয়ের সংস্পর্শে আসেন। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তার দুই মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
Leave a Reply