আহত আলমাছ খাতুন গণমাধ্যমকর্মীদের কে জানান, মোঃ-হারুন ও মোঃ-ইছমাইল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও আমার সৎদেবর ও নুরুচ্ছাফা বেগম এর সৎ শাশুড়ি হয়। শিকদারবিল মহিলা কলেজ সংলগ্ন ৫ নং ওয়ার্ড, রাজাপালং ইউপি, বসত বাড়ী ও আমার বসত বাড়ী পাশাপাশি। মোঃ-হারুন ও মোঃ-ইছমাইল ও মোঃ-হারুন প্রায় সময় নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়া রাত্রি বেলায় উচ্ছৃংখল আচরণ করে এবং গত কিছুদিন পূর্বে হইতে মোঃ-হারুন আমাকে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক প্রস্তাবসহ খারাপ প্রস্তাব দিচ্ছেন।
আমি বাধা নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকিদে এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ-হারুন আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে ০৯ সেপ্টেমবর্ রাত অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় কৌশলে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে অতর্কিত ঝাপটাইয়া ধরে আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়া আমার শরীরের স্পর্ষ কাতর স্থানে হাত দিয়া যৌন পীড়ন করে ঘর হইতে বাহির হইয়া পালিয়ে যায়। আমার স্বামী বাড়িতে আসলে আমি উক্ত বিষয় আমার স্বামীকে জানাই।
পরবর্তীতে আমি আমার স্বামী উক্ত বিষয়ে আমার শ্বশুরের নিকট সালিশ দেওয়ার জন্য আমার শাশুরের বসত ঘরের উঠোনে পৌঁছালে উক্ত বিবাদীরা লাঠি সোটা নিয়ে আক্রমণ করে আমাকে ও আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ীভাবে মারধর করে ও আমাদের বুকে, পিঠে,হাতে, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন স্তানে নীলা ফুল জখম করে। মোঃ-হারুন আমার স্বামীর পকেট হইতে নগত ৯,০০০/- টাকা এবং নুরুচ্ছাফা বেগম আমার কান হইতে ৪ আনা ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল মূল্য ১৫,০০০/- টাকা নিয়া ফেলে। মো:-ইসমাইল লাঠি দিয়া আমার মাথায় ও দুই পায়ে বারি মারিয়া ফুলা জখম করে। মোঃ-হারুন আমার তলপেটে লাথি মারিয়া ফুলা জখম করে। শোর চিৎকার শুনিয়া ও ঘটনা দেখিয়া অপরাপর সাক্ষীগণ সহ পাড়ার অসংখ্যা লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে উক্ত বিবাদীরা এই ঘটনায় সালিশ বিচার দিলে আমাকে ও আমার স্বামীসহ পরিবারের লোকজনের আরো মারধরসহ খুন করিবে এবং শাস্তিতে বসবাস করিতে দিবেনা মর্মে প্রকাশ্য হুমকি দিয়া তাহাদের বসত ঘরের দিকে চলিয়া যায়। সাক্ষীদের সহায়তায় আমি ও আমার স্বামী ছৈয়দ কাশেম উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমার ও ছৈয়দ কাশেম জখমী ডাক্তারী সনদ পত্র যথাযথ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে পরবর্তী দাখিল করিব। চিকিৎসার ব্যবস্হা পত্র সংযুক্ত। ঘটনার বিষয় আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজনদের অবগত করে সালিশের মাধ্যমে মীমাংশার চেষ্টা করি।
কিন্তুু ডাকু প্রকৃতির বিবাদীরা স্থানীয় সালিশ অমান্য করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হওয়ায় বিভিন্ন কৌশল করছে সন্ত্রাসীরা।
Leave a Reply