ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের প্রধান ফটকে তালা মারার কারণে সকল ক্লাস বন্ধ থাকা এবং কলেজের পতাকা স্ট্যান্ড অন্যত্রে স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও অধ্যক্ষসহ পাঁচ শিক্ষকের অপসারণ দাবি করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে কলেজ ছাত্র সংসদ, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব দাবি করা হয়। কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি খন্দকার আরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন,কলেজের সামনের এক একর ৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে মহিউদ্দিনের সাথে মামলা চলছিল।
সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে গোলাম মহিউদ্দিনের পক্ষে রায় দেওয়া হলে কলেজের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। হাইকোর্টে আপিল শুনানী না হতেই অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রহিম গোলাম মহিউদ্দিনের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে জমি অধি গ্রহনের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি জমি অধি গ্রহনের পক্ষে সমস্ত কাগজপত্র তৈরী করে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকায় চলে গেছেন। আমরাও (ছাত্র নেতারা) জমি অধিগ্রহনের পক্ষে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি রনি আরও বলেন, জমি অধিগ্রহন হতে হবে হাইকোর্টের আপিল শুনানীর পর। কিন্তু তা না করে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে জামায়াত শিবিরের দোসর রসায়ন বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম,ইংরেজী বিভাগের প্রধান রবিউল ইসলাম,দর্শন বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম ও শিক্ষক কাউন্সিলের সম্পাদক ম্যুরালী মোহন দাস অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এতে সোমবার কলেজে কোন প্রকার ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, অধ্যক্ষের নির্দেশে কলেজ মাঠ থেকে পাকা করা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্থান ভেঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনের ছোট জায়গায় নতুন করে স্থাপন করেছেন। যেখানে প্রতিদিন সকালে শিক্ষকরা পতাকা উত্তোলন না করে পিয়ন দিয়ে পতাকা উত্তোলন করিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হচ্ছে। শিক্ষক কাউন্সিলের সম্পাদক ম্যুরালী মোহন দাস সাংবাদিকদের জানান,অধ্যক্ষের নির্দেশে তিনি কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন।
ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুর রহিম প্রতিবাদ সমাবেশে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনির দেওয়া সকল অভিয়োগ মিথ্য ও ভিত্তিহীন দাবি করে জনকন্ঠকে বলেন,কলেজে হোন্ডা নিয়ে যাতে কোন সন্ত্রাসী ঢুকতে না পারে সেজন্য আমি প্রধান ফটকে তালা দিতে বলেছি। গোলাম মহিউদ্দিনের জমিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে পতাকা স্ট্যান্ড স্থানান্তর করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপন করেছি। প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
Leave a Reply