জানা গেছে, নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার পূজামন্ডপের নামে বরাদ্দকৃত চাউল ঈশ্বরদীর সীমা ট্রের্ডাস এন্ড চাউল কলের মালিক তরিকুল ইসলাম এর ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদামে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদ পায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। গত ২ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে চাউল গুদাম পুলিশের নিয়ন্ত্রনে নেন।
ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা সীমা ট্রের্ডাস এন্ড চাউল কলের মালিক তরিকুল ইসলাম এর মালিকানাধীন গুদামে হাজির হন।
এ সময় তরিকুল বলেন, সে তার নাটোর প্রতিনিধির মাধ্যমে পূজামন্ডপের নামে সরকারী বরাদ্দকৃত চাউল ৩৯ টাকা কেজি দরে কিনে এনেছেন। যার মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। একবারে এত টাকার চাউল কেনার কোন বৈধতা আছে কিনা তা নিয়ে যাচাই বাছাই চলছে।
সোমবার দুপুরে সীমা ট্রের্ডাস এন্ড চাউল কলের গুদামে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, চাউলগুলো আহার্য বাবদ দেওয়া হয়, কোন ব্যাক্তি মালিকানায় এ চাউল ক্রয়ের কোনো নীতিমালা নেই। তিনি আরও জানান, এ ধরনের চাউল ক্রয় ও গুদামজাত সম্পূর্ণ অবৈধ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তরিকুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে বাহির থেকে সরকারী চাউল এনে নিজ গুদামে রেখে নতুনভাবে প্যাকেজিং করে বাজারজাত করে আসছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দীন চাউল আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তর অফিসের কর্মকর্তারা আসবেন। বিষয়টি তারাই দেখভাল করবেন। পুলিশ সোমবার রাতে ওই গুদাম পাহারা দিয়ে রেখেছে।
Leave a Reply