সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস নামক এমন এক মহামারীর আবির্ভাব ঘটেছে, যেটা পুরো পৃথিবী কে থমকে দিয়েছে। এমেরিকান চীন রাশিয়ার মত এত শক্তিশালী দেশগুলিও আজ তার কাছে হার মেনেছে।
গোটা ধরণী লাশের পাহাড় গড়ে উঠেছে,তাই সকলে আতংকে আছে।প্রাণ প্রিয় জন্ম ভূমিতেও করোনা নামক ভাইরাসের আগমন ঘটেছে, ইতিমধ্যে অনেক মানুষ সেই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সজ্জায় কাতরাচ্ছে, আবার কেউ মমতা ময়ী পৃথিবী ত্যাগ করেছে।করোনার করুণ পরিস্থিতিতে খুব কঠিন অবস্থায় সকল কে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।এখন আপনি একটু সতর্ক হোন, নিজের জীবনটারে বাঁচান। আপনি কি এমন অবস্থায় মরতে চান? যে অবস্থায় পাশে কেউ থাকবে না, জানাজা পড়বে না, গোসলের ব্যবস্থা করবে না! সকলে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মোতাবেক চলি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইতিমধ্যে এমন এক নির্দেশা দিয়েছেন, সাধারণ মানুষ তা মানতে রাজি হচ্ছেন না! দেশের শীর্ষ আলেমদের ঐক্যমতানুযায়ী ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলেছেন, প্রত্যেক নামাযে পাঁচ জন করে জুমায় দশ জনের বেশি মুসল্লি নয়। এখন আমরা আবেগের বশিভূত হয়ে ওলামায়ে কেরাম এবং সরকারের কঠিন সমালোচনা করছি। ভাই! একটু ভাবুন , নামাজ জামাতে পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যদি সরদি কাঁশি এই ধরণের বিরল কোন রোগের আশঙ্কা না থাকে।যদি থাকে তাহলে যাওয়ার দরকার নাই।
এখন মহামারীর মত এত কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যেখানে, সেখানে শরয়ী মাসআলা মানতে আপনাকে বাধা দিচ্ছে কোন জিনিস ? আসুন আমরা সকলেই মিলে এমন করুণ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে নামায,রোজা, জিকির, কুরআন তেলাওয়াত করি। অন্যে র সমালোচনা না করে, আত্ম সমালোচনা করি। আল্লাহর দরবারে গোনাহ মাফ চাই। আল্লাহ আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন
Leave a Reply