আরএমপি’র সিসি ক্যামেরা দেখে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার
রিপোর্টারঃ মোঃ সুজন আহাম্মেদ রাজ
রাজশাহী মহানগরীতে আরএমপি’র অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিখোঁজের মাত্র ৫ ঘন্টায় মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করছেন আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বিকেল সাড়ে ৫ টায় রাজশাহী জেলার বাঘা থানার তামিম নামের ১০ বছর বয়সের এক মাদ্রাসা ছাত্র বাঘার একটি মাদ্রাসা হতে বের হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও তাকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরবর্তীতে একজন অটোচালক তাদের বলেন, তামিম রাজশাহী যাওয়ার কোন এক ট্রেনে উঠেছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে ছেলেকে খুঁজে পাওয়ায় আশায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সকালে সেই মাদ্রাসার শিক্ষক ও তামিমের আব্বা আরএমপি’র অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারে আসেন।
আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার জনাব উৎপল কুমার চৌধুরী পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টারে সদস্যরা স্থাপন করা শহরের সকল ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা শুরু করেন।
ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনাকালে মাত্র ৫ ঘন্টার ব্যবধানে নিখোঁজ তামিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয় ক্যামেরা ইউনিটের সদস্যরা। পরবর্তীতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার পাঠানপাড়া মাদ্রাসা হতে তামিমকে উদ্ধার করে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এর পূর্বেও জানুয়ারি ২০২২-এ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১২ বছরের একটি ছেলে ঢাকার এক মাদ্রাসা হতে নিখোঁজ হয়। সেই ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে তৈরি করা হয়েছিলো একটি অপহরণ নাটক। অবশেষে সেই ছেলের অভিভাবক সাইবার ইউনিটের সহযোগিতা চাইলে সেই রাতেই তাকে চন্দ্রিমা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সন্তানকে ফিরে পেয়ে তামিমের আব্বা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদানের পরপরই বলেছিলেন “রাজশাহী মহানগরীকে নিরপাত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। মহানগরীতে কোন অপরাধ থাকবে না। সেই লক্ষে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি সাইবার ক্রাইম ইউনিট, অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার সহ কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ ও হ্যালো আরএমপি অ্যাপ চালু করেন।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও অপারেশন কন্ট্রোল এ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার সাফল্য দেখিয়ে আসছে।
Leave a Reply