সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার। আরো অসংখ্য ভাইয়ের রক্তে ভেজা অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারী। গোলাপটি কাহার তরে ২১ এর রক্তেলেখা বুকে এঁকে করেছি পণ। ভুলবো না তোমায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল তাই তাইতো সবার মুখে মুখে একই রকম বানী, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারী। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার। আরো অসংখ্য ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক, আইপি চ্যানেল মাতৃজগত টিভির চেয়ারম্যান, দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক, বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্রাইম সংগঠন এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি, খান সেলিম রহমান। ৫২ এর সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে, খান সেলিম রহমান বলেন। প্রথমেই বিনম্র ও শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি, বাংলার রাষ্ট্র নায়ক, বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা পরিবারের সকল শহীদদের। শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের। খান সেলিম রহমান, আরো বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের বিষয়টি নিয়ে ইউনেসকোতে দুটি সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমত, ইউনেসকো ভেবেছিল, এমন একটা দিবস পালন করতে গেলে ইউনেসকোর বড় অঙ্কের টাকা পয়সা প্রয়োজন হবে। প্রতিবছর অনেক টাকা পয়সা খরচের কথা ভেবে প্রথমেই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। একই সঙ্গে ইউনেসকো মহাপরিচালক International Mother Language Day নয়, International Mother Tonguae Day নামে একে অভিহিত করতে সচেষ্ট হন। মহাপরিচালক এ জন্য এক লাখ ডলারের ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করেন এবং দুই বছর পর নির্বাহী পরিষদের ১৬০’তম অধিবেশনে একটি সম্ভাব্যতা জরিপের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার আদেশ দেন। এর পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার বিষয়টি আটকা পড়ে। প্রস্তাবটি কার্যকর হতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে বলে মনে করা হয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক। শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউনেসকো অধিবেশনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা। তিনি অধিবেশনে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, যেখানে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য পৃথিবীর ১৮৮টি জাতির সামনে তুলে ধরেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন দেশের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পক্ষে অভিমতও গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। এমনকি উপস্থিত সদস্যদের বোঝাতে সক্ষম হন, দিবসটি পালন করতে প্রকৃতপক্ষে ইউনেসকোর এক ডলারও লাগবে না। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ নিজেরাই নিজেদের মাতৃভাষার গুরুত্ব আলোচনা ও জয়গান গাইতে গাইতে দিনটি পালন করবে। খান সেলিম রহমান আরো বলেন, ২১ একটি সংখ্যামাত্র নয়, দিনপঞ্জিকার একটি দিনমাত্র নয়, অমর একুশে আমাদের অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। একুশের পথ বেয়ে এসেছে চুয়ান্ন’র সাধারণ নির্বাচনে পাক-শাসকদের ভরাডুবি, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালির বিপুল বিজয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ; এবং অবশেষে পৃথিবীজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন। একুশে মানে তাই মাথা নত না করা। একুশে মানে মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে জীবনের গান গেয়ে যাওয়া। একুশে মানে বাঙালির অহংকার। একুশে নিয়ে এই দীর্ঘ ভূমিকার অবতারণার পেছনে আছে আমার অন্তঃস্থলে জেগে থাকা এক স্বপ্নও আমরা যেন আমাদের পূর্বপুরুষের এনে দেয়া উপহার এই মাতৃভাষাকে সমুন্নত রাখি। ভাষার সঠিক ব্যবহার না হলে তা খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়, বা ক্রমশঃ বিলীয়মান হয়ে যায়। বাংলাভাষাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আমাদের উচিৎ সঠিকভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার করা। আপনি বা আমি অন্যান্য যে ভাষাতেই দক্ষতা অর্জন করি না কেন, ইংরেজী, স্প্যানিশ, জার্মান, হিন্দি, আরবী, উর্দু, চীনা, জাপানীজ, সে যে ভাষাই হোক না কেন, আমরা বাঙালিরা যেন সর্বপ্রথম সর্বদা মাতৃভাষা বাংলাকে শুদ্ধভাবে শিখতে পারি, শুদ্ধভাবে শিখাতে পারি। ১৯৯৯ সালে একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ শুধু বাংলা ভাষার বিশ্ববিজয় নয়, পৃথিবীর সব মাতৃভাষার জয়। খান সেলিম রহমান, বাংলার রাষ্ট্র নায়ক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশু শেখ রাসেল সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের জন্য। এবং বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন কারি শহীদের জন্য। মাতৃজগত পরিবার সহ দেশবাসির কাছে দোয়া চেয়েছেন।
Leave a Reply