বরগুনার আমতলীতে অপহৃত ১০ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। অপহরনকারী নাঈম মুছুল্লীকে গ্রেফতার করতে না পারলেও তার বাবা দেলোয়ার মুছুল্লী ও মা মুনসুরা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের নিজাম ঘরামীর মাদ্রাসায় পড়–য়া ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে গত ২৩ জুন চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার মুছুল্লীর পুত্র বখাটে নাঈম মুছুল্লী তার দুই সহযোগীসহ অপরহন করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল (২৯ জুন) রাতে আমতলী থানার এসআই জ্ঞান কুমার অপহরনকারী নাঈম মুছুল্লীর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় ওই মামলার অপর আসামী অপহরনকারীর বাবা ও মাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ বুধবার অপহৃতা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ২২ ধারায় জবাববন্দির জন্য আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহৃতার জবানবন্দি গ্রহন করে পুলিশকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আদেশ প্রদান করার পাশাপাশি গ্রেফতারকৃত অপহরনকারীর বাবা- মাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপহৃত ভিকটিমের পিতা মোঃ নিজাম ঘরামী বলেন, বখাটে নাঈম মুছুল্লী তার দুই সহযোগিকে নিয়ে আমার মাদ্রাসা পড়–য়া মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করছি। আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তার জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক জবানবন্দি গ্রহন শেষে ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply