হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) আউলিয়া শব্দটি বহুবচন এক বচনে অলি। তাঁকে আউলিয়া বলার কারণ হলো, তিনি অলিদের মধ্যে নেতা ছিলেন। বার আউলিয়ার অন্যতম অলি শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) এর মাজার আনোয়ারা থানার বটতলী গ্রামে। আধ্যাত্মিক মহাপ্রভাবসম্পন্ন এই অলি সুদূর আরব দেশ থেকে চট্রগ্রামে আগমন করেন। হযরত বদর শাহ (র.) কাতাল পীর প্রমুখও তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন। সমুদ্রপথেই তাঁদের চট্রগ্রামের আগমন ঘটে। এই সময় আরব দেশ থেকে সুফি সাধকেরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েন। চট্রগ্রামেও আসেন বার আউলিয়া নামে খ্যাত সুফি সাধকগণ। সুফিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মপ্রচার করা। এই সব আউলিয়া আরব থেকে প্রথমেই আসেন গৌড় রাজ্যে। সেখানে কিছু দিন অবস্থান করে হযরত শাহ বদর (র.) হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া র এবং হযরত শাহ কাতালপীর র. আসেন দেয়াঙ রাজ্যের (আনোয়ারা)। এই দেয়াঙ এলাকায় ছিল এককালে সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন বন্দর শহর। কথিত আছে যে, হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া এবং হযরত শাহ কাতালপীর প্রথমেই আস্তানা গড়েন বর্তমান আনোয়ারা থানার দক্ষিণ গহিরা গ্রামের পশ্চিম সমুদ্র উপকূলীয় ইছাখালী গ্রেমের কাড়ির হাট নামক স্থানে। বর্তমান গহিরা উপকূল থেকে প্রায় আট মাইল পশ্চিমে ছিল এই প্রাচীন ইছাখালী গ্রাম/ কড়ির হাট। এটিই ছিল প্রথম বার আউলিয়া স্থান। এই স্থান্টি বার আউলিয়ার নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। উক্ত কড়ির হাট থেকে শাহ বদর পীর, শাহ মোহছেন আউলিয়া এবং কাতালপীর এক সাথে চলে আসেন জীব-জন্তুর অভয়ারণ্য কর্ণফুলির উত্তর পাড়ে। কথিত আছে যে, শাহ বদর ও শাহ মোহছেন আউলিয়া আজকের চট্রগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় নামক স্থানে। এই আউলিয়ারা জিন-পরীর উপদ্রুত এই এলাকায় চটি জ্বালিয়ে প্রথমে অবস্থান গ্রহণ করেন। কথিত আছে যে, এই চাটি থেকে কালক্রমে চট্টগ্রাম নামে পরিচিতি লাভ করে। চ ল বে….
Leave a Reply