ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শাহজাহান মিয়া (৬৫) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যকে গলাটিপে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুকুর ইজারাদার সোহেল ভূঁইয়া ও তার বড় ভাই কাইয়ুম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। আজ রোববার(১৩ জুন)সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সোহেল ভূঁইয়া ও তার ভাই কাইয়ুম ভূঁইয়া গা ঢাকা দিয়েছেন।পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শাহজাহান মিয়ার বাড়ির প্রতিবেশি ফরহাদ মিয়ার পুকুর ইজারা নেন একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী নিলাখাদ গ্রামের সিরাজুল হক ভূঁইয়ার দুই ছেলে সোহেল ভূঁইয়া ও কাইয়ুম ভূঁইয়া। সম্প্রতি শুঁকিয়ে যাওয়ায় পুকুরের পাড় নির্মাণে মাটি ভরাট নিয়ে পুকুর ইজারাদার সোহেল ভূঁইয়া ও কাইয়ুম ভূঁইয়ার সঙ্গে শাহজাহান মিয়ার বিরোধ চলছিল। আজ রোববার সকালে শ্রমিক নিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন সোহেল ও কাইয়ুম। এসময় পুকুর পাড়ের বাড়ির বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া পুকুরের মালিক ফরহাদকে সঙ্গে নিয়ে জায়গা মাপজোক করে মাটি ভরাটের কাজ করতে বলে তাদেরকে মাটি ফেলতে বাঁধা দেন। এতে সোহেল ভূঁইয়া ও কাইয়ুম ভূঁইয়া উত্তেজিত হয়ে শাহজাহানের ওপর হামলা করে। এসময় কাইয়ুম ভূঁইয়া অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য শাহজাহানকে গলাটিপে চেপে ধরে। মূহুর্তেই শাহজাহান জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত শাহজাহানের স্ত্রী মমিনা বেগম (৫০) এবং জামাই সাফিকু ইসলাম (৫০)বলেন, কাইয়ুম ভূঁইয়া শাহজাহানের গলাটিপে চেপে ধরে আর সোহেল ভূঁইয়া কিল-ঘুষি মারতে থাকলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। এসময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আহত শাহজাহানকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর মুল রহস্য জানা যাবে।
Leave a Reply