লালমনিরহাট, আদিতমারী, ভেলাবাড়ী-দূর্গাপুর ইউনিয়নের বিপজ্জনক সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যে কোনও মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে যেতে পারে। ব্রিজের মাঝখানে ত্রুটি থাকায় যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও, ব্রিজের উভয় পাশের রেলিংগুলি নড়বড়ে এবং বেশিরভাগ ভাঙা, কার ক্ষতি হবে তা বলা মুশকিল। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ২৭ বছর আগে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী-দূর্গাপুর সড়কের ঘাটেরপাড় গ্রামে রত্নাই নদীর উপরে এই সেতুটি নির্মিত। এই সেতুটি ভেলাবাড়ী ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের দুটি ইউনিয়নের অংশের মধ্যে নির্মিত, ভেলাবাড়ী-দূর্গাপুর ছাড়াও অন্যান্য এলাকার মানুষের যাতায়াত। দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা এই পুরাতন ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরেই বিপদে রয়েছে এবং সেতুটির মাঝখানে একটি নতুন উপায়ে একটি বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটা প্রান্তটি সরু ব্রিজটিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ…। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন যে কোনও মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে যেতে পারে। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সেলিম হায়দার ও ভেলাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেব সরকার ও মোস্তাকিন আলী প্যানেল চেয়ারম্যান দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও দূর্গাপুর ইউনিয়নের খোকন চৌধুরী জানান, ব্রিজটির কয়েকটি জায়গায় ফাটলের কারণে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিন পাশে নদী হওয়ায় বিকল্প রাস্তা নেই। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ব্রিজটি ভেঙে গেছে, ব্রিজটি দ্রুত সমাধান হলে স্থানীয়রা লাভবান হবেন। অটো রিস্কা চালকরা জানিয়েছেন, প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে,গাড়ি উঠার সাথে সাথে ব্রিজটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং কাঁপছিল, ফলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিলো। ভেলাবাড়ী ও দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এবং সালেকুজ্জামান প্রামানিক বলেছেন, “আমরা রত্নাই সেতু পরিদর্শন করেছি এবং উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারা অল্প সময়ে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ সোহেল রানা জানান, ঠিকাদার নিয়োগের পর সেতুর নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু হবে।
Leave a Reply