নগরীর স্কলার্সহোমসহ সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বেতন ফি প্রদানের জন্য নোটিশ টানিয়েছে। অভিভাবকদের মেসেজ দিয়ে বেতন ফি প্রদানের তাগিদ দিচ্ছে।
এ নিয়ে অভিভাবক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ এক মাস থেকে মানুষ যখন গৃহবন্ধি, কোন কাজ নেই। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেতন তাগিদ দেওয়া কতটুকু মানবিক- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা যায়- স্কলার্সহোম, আনন্দনিকেতন, বিবিআইএস, খাজান্সিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, কুমারপাড়াস্থ ইংলিশ গ্রামার স্কুলসহ অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকদের কাছে বার বার বেতন পরিশোধের নোটিশ পাঠাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। মানুষ যখন মানবেতর জীবন যাপন করছে তখন অভিভাবকদের কাছে বেতন চেয়ে নোটিশ দেওয়া ঠিক নয়, এটা অমানবিক। সরকারী নির্দেশনা জারির পূর্বেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি উপলব্দি হলে ভালো। নতুবা জনগণের কথা চিন্তা করে সরকার যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
তিনি বলেন, লকডাউন উঠে গেলে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অভিভাবকরা যথাসময়ে তাদের সন্তানদের টিউশন ফি প্রদান করবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সরকারের সচেতনতামুলক কর্মসুচী হিসেবে ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সকল সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসমুহ। সরকারি নির্দেশনার পর থেকে সারাদেশের মতো সিলেটেও বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
লকডাউনে থাকায় অনেকেই যাচ্ছেননা কর্মস্থলে। তার উপর বেতন বন্ধ রয়েছে অনেক বেসরকারি চাকুরীজীবিদের। ব্যবসায়ারীরাও সীমিত পরিসরে ব্যবসা করে খুব একটা আর্থিক ভাবে ভালো নেই। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে নিম্নবিত্ত ও অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা বিতরণ চলছে প্রতিদিন। এমনি দু:সময়েও সিলেটের কয়েকটি অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই সাথে পাঠানো হচ্ছে ম্যাসেজও। ম্যাসেজে বকেয়া বেতনসহ চলতি মাসের বেতন পাঠিয়ে পরিশোধ করার জন্য তাগিদ প্রদান করা হচ্ছে। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
এদিকে শুরু থেকে বেতন চাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে সিলেটপ্রতিদিন টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংবাদের জের ধরে সিলেট প্রতিদিনের ওই প্রতিবেদককে হুমকি দেন স্কলার্সহোমের মুক্তাদির চৌধুরী। এর পর থেকে সিলেটে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেতন চেয়ে নোটিশ দিচ্ছে তাদের নিয়ে ধারবাাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সিলেট প্রতিদিন।
Leave a Reply