বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার রনজিতপুর গ্রামের অরবিন্দু দাসের কুখ্যাত লম্পট পুত্র প্রদীপ দাসের লালসার সিকার সেই ডায়াগনস্টিক নারী কর্মী ও কলেজ ছাত্রী তানিয়া আক্তার (২২) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে ৫ দিন মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার রাত ৭ টার সময় মৃত্যর কাছে হার মেনে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
নিহত তানিয়া রামপাল উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের ইউছুব আলীর কন্যা। নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে,২০১৮ সালের ১৪ ই জানুয়ারী সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজারের সুন্দরবন ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিষ্ট তানিয়া(২২) নিখোঁজ হয় । তারপর অনেক খুজা খুজির পর ও তানিয়া আক্তারকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ১৫ ই জানুয়ারী প্রদীপ দাস একটি মোবাইল ফোন থেকে নিহতের বাবা ইউছুব আলীকে ফোন করে বলেন তোর মেয়েকে রূপসা সেতুর উপর ফেলে রেখেছি। সেই খবরের ভিত্তিতে নিহতের পরিবার অচেতন অবস্থায় তানিয়া-কে উদ্ধার করে খুলনার ১টি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ১৬জানুয়ারী উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেকে ভর্তি করেন।
ঐ ঘটনায় ১৬জানুয়ারী ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রামপাল থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে প্রদীপ দাশের বিরুদ্ধে ১টি মামলা দায়ের করেন,যার নং-০৭। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঘাতক প্রদীপ দাশ, চুলকাঠি এলাকার একজন চিহিৃত লম্পট ও প্রতারক। সে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, এনজিও কর্মি সহ নানা পরিচায় দিয়ে প্রতারনা করেই চলছিল। এমনকি একাধিক নারী-কে প্রতারনার ফাদে ফেলে তাদের নারীত্ব লুটে নেওয়ারও গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। নিহতের পিতা ইউসুফ আলী সাংবাদকর্মিদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,লম্পট প্রদীপ দুবছর আগে ফয়লা বাজার থেকে তার কন্যা তানিয়া-কে অপহরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে অচেতন করার ওষুধ প্রযোগ করে তাকে যৌন নিযার্তন করেই চলছিল। এই যৌন নিযার্তন করার ফলে তানিয়ার গর্ভে ১টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।
যে কন্যা সন্তানটি বর্তমানে প্রতারক প্রদীপ এর পিতা অরবিন্দু দাশ ও মাতা শান্তি রানী দাশের কাছে রয়েছে। তিনি লম্পট প্রতারক প্রদীপের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। এদিকে তানিয়ার অকাল মূত্যু ও ঘাতক প্রদীপ গ্রেফতার না হওয়ায় তার সহকর্মি সহপাঠি ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, এঘটনায় থানায় ১টি মামলা হয়েছে, আমরা আসামী প্রদীপ দাশকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।
Leave a Reply