মামলার ভিকটিম মোঃ খোকন মোল্লা (৪০), পিতাঃ মোঃ আজিজুল হক, সাং-কুলিয়ারচর, থানা-শাহাজাতপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ বর্তমানে পশ্চিম গাজীপুরা, নতুন মন্ডলের গলি, হোল্ডি নং-২৪/৪ (মোঃ ফারুক হোসেন এর বাড়ির ম্যানেজার), থানা-টঙ্গী পশ্চিম, গাজীপুর মহানগর গাজীপুর। ভিকটিম উল্লেখিত বাসায় ১০(দশ) বছর যাবৎ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। গ্রেফতাকৃত আসামী ১। মোঃ মজনু(২৭), পিতা-কুতুবউদ্দিন, মাতা- মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-চর বসন্তিপুর, থানা-নকলা, জেলা-শেরপুর বর্তমানে খরতৈল ব্যাংকপাড়া, ২। মোঃ আল-আমিন(২৫), পিতা-মোঃ কামরুল, মাতা-মোসাঃ তাহমিনা, সাং-তুলারামপুর, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা-রংপুর বর্তমানে খরতৈল ব্যাংকপাড়া, ৩। মোঃ স্বপন(২২), পিতা-মোঃ ইউসুফ, মাতা-মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-পশ্চিম সোনা পাতিল আরিয়া পাড়া, থানা-নলডাঙ্গা, জেলা-নাটোর, ৪। মোঃ ফয়সাল(৩১), পিতা-আবু তালেব, মাতা-শিল্পি সরকার, সাং-খরতৈল সুখিনগর, বর্তমানে সর্ব থানা-টঙ্গী পশ্চিম ৫। মোঃ ওয়াসিম(৩৪), পিতা-আলী হোসেন, মাতা-মোছাঃ হালিমা, সাং-ফকির বাড়ী রোড আবু বক্কর কাউন্সিলরের বাড়ির পাশে, থানা-টঙ্গী পূর্ব, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুরসহ অপরাপর জড়িত আসামী মামুন(মামুন বাহিনীর প্রধান) আরও অজ্ঞাতনামা আসামীদের সাথে নিয়ে বর্ণিত ভিকটিমের নিকট এই এলাকায় থাকতে হইলে টাকা দিতে হইবে বলে দাবি করে। ভিকটিম টাকা না দেওয়ায় মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন অন্যান্য সহযোগীদের সাথে নিয়ে গত ০৭/০৬/২০২১খ্রিঃ রাত অনুমান ০৮.২০ ঘটিকার সময় ভিকটিম নামাজে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাসা হইতে বাহির হইলে উল্লেখিত আসামীগন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জন একই উদ্দেশ্য ভিকটিমকে বাসার সামনে হইতে ইজিবাইকে তুলিয়া অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ভিকটিমকে লাঠি দিয়া প্রহার করিয়া কিল ঘুষি মারিয়া আহত করিয়া বলপূর্বক আটক রাখিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়া মৃত্যুর ভয় দেখাইয়া ১,০০০০০/-(এক লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন বিকাশের মাধ্যমে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা মামুন বাহিনীকে পাঠায়। আরো উল্লেখ্য যে, মামুন বাহিনীর প্রধান মামুন তার দলবলের সহযোগীতায় ভিকটিমের পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা বাড়ি ভাড়ার ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা মৃত্যর ভয় দেখাইয়া জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোঃ খোকন মোল্লা(৪০)‘কে গাছা থানাধীন নিলয় এলাকা থেকে ০৮(আট) ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে এবং অপহরণ ও চাঁদাদাবীর সাথে জড়িত উল্লেখিত ০৫(পাঁচ) জন আসামীকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/ সাব্বির হোসেন গ্রেফতারকৃত আসামী ফয়সালের কাছে ৭,০০০/-(সাত হাজার) টাকা এবং আসামী আল-আমিনের হেফাজত হইতে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা উদ্ধার পূর্বক বিধি মোতাবেক জব্দ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে আসামীদের পুলিশ হেফাজতে এনে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ০৭(সাত) দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন।
Leave a Reply